ঢাকা ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার তিন দিনের রিমান্ড, গ্রেপ্তার দেখানো হলো আরও এক নেত্রীকে সরকারি তিন দপ্তরে শীর্ষ পদে রদবদল শক্তিশালী ষড়যন্ত্রের ছায়ায় বেলুচিস্তানে ট্রেন ছিনতাই, রাষ্ট্রীয় শক্তির জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা দুই বিভাগে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি দুইবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে’, অবস্থা আরো অবনতির পথে রংপুরে একযুগ পর শিবির নেতা আশিকুর রহমান হত্যার বিচার চেয়ে আ. লীগের দুই সাবেক এমপির নামে মামলা বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক প্রকাশ সিগারেটের ব্যবহার কমানোর জন্য ট্যাক্স বাড়ানো যথেষ্ট নয়: শফিকুল আলম শাহবাগীদের কারণে ‘গডমাদার অফ ফ্যাসিজম’ হলেন হাসিনা: শিবির সভাপতি ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষ, আহত ১৪

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে ম্যানিলা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর তিনি দেশে ফিরলে পুলিশ তাকে আটক করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

হংকং থেকে দেশে ফেরার পরই দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলমান রয়েছে। রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুতার্তে তার ক্ষমতা গ্রহণের সময় মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নামে গণহত্যার মতো অপরাধ করেছেন। বিচার বিভাগের এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করবে।

আইসিসি ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দুতার্তের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেয়। এই সময়কালে তিনি ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ডাভাওয়ের মেয়র ও পরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অভিযোগ উঠেছে, তার নেতৃত্বে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলো সম্ভবত মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় পড়ে, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হতে পারে।

ফিলিপাইন সরকার, বিশেষত বর্তমান প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, এ তদন্তের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এবং বলেছেন যে, তারা আইনের শাসন অনুসরণ করবে। তবে আন্তর্জাতিক মহলে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কার্যকরের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে, এবং বিষয়টি আরও জটিল হতে পারে, যেহেতু দুতার্তে নিজেকে কঠোরভাবে মাদকবিরোধী যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে প্রচার করেছিলেন।

এখন দেখা যাবে, আন্তর্জাতিক আদালত কিভাবে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন করে এবং তার ভবিষ্যৎ শাস্তির বিষয়টি কিভাবে নির্ধারণ হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:২৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
৫০৭ বার পড়া হয়েছে

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৩:২৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

 

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে ম্যানিলা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর তিনি দেশে ফিরলে পুলিশ তাকে আটক করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

হংকং থেকে দেশে ফেরার পরই দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলমান রয়েছে। রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুতার্তে তার ক্ষমতা গ্রহণের সময় মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নামে গণহত্যার মতো অপরাধ করেছেন। বিচার বিভাগের এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করবে।

আইসিসি ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দুতার্তের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেয়। এই সময়কালে তিনি ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ডাভাওয়ের মেয়র ও পরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অভিযোগ উঠেছে, তার নেতৃত্বে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলো সম্ভবত মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় পড়ে, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হতে পারে।

ফিলিপাইন সরকার, বিশেষত বর্তমান প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, এ তদন্তের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এবং বলেছেন যে, তারা আইনের শাসন অনুসরণ করবে। তবে আন্তর্জাতিক মহলে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কার্যকরের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে, এবং বিষয়টি আরও জটিল হতে পারে, যেহেতু দুতার্তে নিজেকে কঠোরভাবে মাদকবিরোধী যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে প্রচার করেছিলেন।

এখন দেখা যাবে, আন্তর্জাতিক আদালত কিভাবে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন করে এবং তার ভবিষ্যৎ শাস্তির বিষয়টি কিভাবে নির্ধারণ হয়।