ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

ইউক্রেনের বিরল খনিজে চোখ ইইউ’র, নতুন কৌশলগত চুক্তির প্রস্তাব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 47

ছবি: সংগৃহীত

 

ইউক্রেনের বিপুল পরিমাণ বিরল খনিজ সম্পদকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) একটি নতুন কৌশলগত চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাবিত এই চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় আরও লাভজনক বলে মনে করা হচ্ছে, যা ইউক্রেনের অর্থনৈতিক স্বার্থও সুরক্ষিত রাখবে।

বিশ্ববাজারে প্রযুক্তি ও শিল্প খাতের জন্য অপরিহার্য বেশ কয়েকটি বিরল খনিজের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইউরোপ নির্ভর করছে বিভিন্ন উৎসের ওপর। ইইউ চায়, ইউক্রেন তাদের কাঁচামালের জোগানদাতাদের অন্যতম হয়ে উঠুক। নতুন চুক্তির আওতায় ইউক্রেন ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি খনিজের মধ্যে ২১টির সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবে। এর ফলে ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের শিল্প ও প্রযুক্তি খাতের কাঁচামালের সরবরাহ শৃঙ্খল আরও স্থিতিশীল করতে পারবে।

ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ খনিজ ভান্ডারগুলোর একটি, যেখানে লিথিয়াম, কোবল্ট, নিকেলসহ উচ্চমূল্যের বিভিন্ন বিরল খনিজ রয়েছে। বিশেষ করে, সবুজ জ্বালানি, আধুনিক ব্যাটারি উৎপাদন ও সামরিক খাতে ব্যবহৃত এই খনিজগুলোর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ইইউ মনে করছে, রাশিয়া ও চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে ইউক্রেনের সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ।

এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে ইউক্রেনের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠন ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে চুক্তির বাস্তবায়নে নানা চ্যালেঞ্জও রয়ে গেছে। রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ এবং অঞ্চলটির নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ চুক্তির কার্যকারিতা প্রভাবিত করতে পারে।

ইউক্রেন সরকার এখনো ইইউ’র প্রস্তাব নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে সূত্রের খবর, কিয়েভ সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে গভীর পর্যালোচনা করছে এবং নিজেদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে। আগামী সপ্তাহগুলোতে এই ইস্যুতে বড় কোনো অগ্রগতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউক্রেনের বিরল খনিজে চোখ ইইউ’র, নতুন কৌশলগত চুক্তির প্রস্তাব

আপডেট সময় ০৫:১১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ইউক্রেনের বিপুল পরিমাণ বিরল খনিজ সম্পদকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) একটি নতুন কৌশলগত চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাবিত এই চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় আরও লাভজনক বলে মনে করা হচ্ছে, যা ইউক্রেনের অর্থনৈতিক স্বার্থও সুরক্ষিত রাখবে।

বিশ্ববাজারে প্রযুক্তি ও শিল্প খাতের জন্য অপরিহার্য বেশ কয়েকটি বিরল খনিজের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইউরোপ নির্ভর করছে বিভিন্ন উৎসের ওপর। ইইউ চায়, ইউক্রেন তাদের কাঁচামালের জোগানদাতাদের অন্যতম হয়ে উঠুক। নতুন চুক্তির আওতায় ইউক্রেন ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি খনিজের মধ্যে ২১টির সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবে। এর ফলে ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের শিল্প ও প্রযুক্তি খাতের কাঁচামালের সরবরাহ শৃঙ্খল আরও স্থিতিশীল করতে পারবে।

ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ খনিজ ভান্ডারগুলোর একটি, যেখানে লিথিয়াম, কোবল্ট, নিকেলসহ উচ্চমূল্যের বিভিন্ন বিরল খনিজ রয়েছে। বিশেষ করে, সবুজ জ্বালানি, আধুনিক ব্যাটারি উৎপাদন ও সামরিক খাতে ব্যবহৃত এই খনিজগুলোর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ইইউ মনে করছে, রাশিয়া ও চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে ইউক্রেনের সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ।

এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে ইউক্রেনের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠন ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে চুক্তির বাস্তবায়নে নানা চ্যালেঞ্জও রয়ে গেছে। রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ এবং অঞ্চলটির নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ চুক্তির কার্যকারিতা প্রভাবিত করতে পারে।

ইউক্রেন সরকার এখনো ইইউ’র প্রস্তাব নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে সূত্রের খবর, কিয়েভ সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে গভীর পর্যালোচনা করছে এবং নিজেদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে। আগামী সপ্তাহগুলোতে এই ইস্যুতে বড় কোনো অগ্রগতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।