ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইভরি কোস্ট থেকে ফরাসি সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার: নতুন যুগের সূচনা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ আইভরি কোস্ট তাদের একমাত্র ফরাসি সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ফ্রান্সের সামরিক উপস্থিতি থাকা এই দেশটি এবার নিজেদের স্বাধীন প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করছে।

প্রেসিডেন্ট ওউয়াত্তারা তার ভাষণে বলেছেন, “আমাদের সেনাবাহিনী আধুনিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করেছে।” ফলে ফরাসি বাহিনীর ৪৩তম মেরিন ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন (BIMA) এখন থেকে আইভরি কোস্টের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে আফ্রিকায় ফ্রান্সের সামরিক প্রভাব আরও কমবে। এর আগে মালি, বুরকিনা ফাসো, নাইজার, সেনেগাল ও চাদও ফ্রান্সকে তাদের সামরিক ঘাঁটি সরিয়ে নিতে বলেছিল। ফরাসি সামরিক উপস্থিতি ও উপনিবেশিক সম্পর্কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বেড়ে যাওয়ায় একের পর এক দেশ এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

ফরাসি সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হলে, আফ্রিকায় ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটি শুধু জিবুতি ও গ্যাবনে সীমাবদ্ধ থাকবে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি আফ্রিকার দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব ও সামরিক স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একই সঙ্গে, ফ্রান্সকেও তাদের আফ্রিকান নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।

এই পরিবর্তন আফ্রিকার নতুন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন, যেখানে দেশগুলো নিজস্ব প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও স্বাধীন হতে চায়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

আইভরি কোস্ট থেকে ফরাসি সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার: নতুন যুগের সূচনা

আপডেট সময় ১০:০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ আইভরি কোস্ট তাদের একমাত্র ফরাসি সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ফ্রান্সের সামরিক উপস্থিতি থাকা এই দেশটি এবার নিজেদের স্বাধীন প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করছে।

প্রেসিডেন্ট ওউয়াত্তারা তার ভাষণে বলেছেন, “আমাদের সেনাবাহিনী আধুনিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করেছে।” ফলে ফরাসি বাহিনীর ৪৩তম মেরিন ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন (BIMA) এখন থেকে আইভরি কোস্টের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে আফ্রিকায় ফ্রান্সের সামরিক প্রভাব আরও কমবে। এর আগে মালি, বুরকিনা ফাসো, নাইজার, সেনেগাল ও চাদও ফ্রান্সকে তাদের সামরিক ঘাঁটি সরিয়ে নিতে বলেছিল। ফরাসি সামরিক উপস্থিতি ও উপনিবেশিক সম্পর্কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বেড়ে যাওয়ায় একের পর এক দেশ এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

ফরাসি সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হলে, আফ্রিকায় ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটি শুধু জিবুতি ও গ্যাবনে সীমাবদ্ধ থাকবে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি আফ্রিকার দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব ও সামরিক স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একই সঙ্গে, ফ্রান্সকেও তাদের আফ্রিকান নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।

এই পরিবর্তন আফ্রিকার নতুন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন, যেখানে দেশগুলো নিজস্ব প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও স্বাধীন হতে চায়।