০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :

তিন জিম্মির বিনিময়ে ১৮৩ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাচ্ছে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 62

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজায় ১৫ মাস ধরে চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস তিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে।

গতকাল ফ্রেঞ্চ-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক ওফার কালদেরন এবং ইয়ার্ডেন বিবাসকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘণ্টাখানেক পর মুক্তি পান আমেরিকান-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক কিথ সিগেল। মুক্তির সময় কালদেরন, বিবাস ও সিগেল জনতার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে সম্মতি জানান।

মুক্ত কালদেরন ও বিবাস ইতিমধ্যেই ইসরায়েলে পৌঁছেছেন, তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার আগে তাদের মেডিকেল চেকআপ করতে হয়েছে। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুসিয়ানো জাকারা বলেন, “ইসরায়েল দাবি করছে হামাস ধ্বংস হয়ে গেছে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বন্দি বিনিময় সঠিক সময়ে হচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে।”

এদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যাদের পশ্চিম তীরের ওফার এবং দক্ষিণ ইসরায়েলের কেটজিওট কারাগার থেকে স্থানান্তর করা হয়েছিল। মুক্তি পাওয়া বন্দিদের বহনকারী বাসগুলো খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতালে পৌঁছায়, যেখানে তারা পরিবারের সঙ্গে মিলিত হন।

গাজার রাফাহ ক্রসিং ২০২৪ সালের মে মাসের পর প্রথমবারের মতো খুলে দেওয়া হয়েছে, যা আহত ও অসুস্থ ফিলিস্তিনিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মানবিক করিডোর হিসেবে কাজ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

তিন জিম্মির বিনিময়ে ১৮৩ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাচ্ছে

আপডেট সময় ০১:৫৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

গাজায় ১৫ মাস ধরে চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস তিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে।

গতকাল ফ্রেঞ্চ-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক ওফার কালদেরন এবং ইয়ার্ডেন বিবাসকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘণ্টাখানেক পর মুক্তি পান আমেরিকান-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক কিথ সিগেল। মুক্তির সময় কালদেরন, বিবাস ও সিগেল জনতার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে সম্মতি জানান।

মুক্ত কালদেরন ও বিবাস ইতিমধ্যেই ইসরায়েলে পৌঁছেছেন, তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার আগে তাদের মেডিকেল চেকআপ করতে হয়েছে। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুসিয়ানো জাকারা বলেন, “ইসরায়েল দাবি করছে হামাস ধ্বংস হয়ে গেছে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বন্দি বিনিময় সঠিক সময়ে হচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে।”

এদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যাদের পশ্চিম তীরের ওফার এবং দক্ষিণ ইসরায়েলের কেটজিওট কারাগার থেকে স্থানান্তর করা হয়েছিল। মুক্তি পাওয়া বন্দিদের বহনকারী বাসগুলো খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতালে পৌঁছায়, যেখানে তারা পরিবারের সঙ্গে মিলিত হন।

গাজার রাফাহ ক্রসিং ২০২৪ সালের মে মাসের পর প্রথমবারের মতো খুলে দেওয়া হয়েছে, যা আহত ও অসুস্থ ফিলিস্তিনিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মানবিক করিডোর হিসেবে কাজ করবে।