যুদ্ধে এক হামলাতেই নিহত হয় ৩০ ইসরায়েলি পাইলট: দাবি ইরানি রাষ্ট্রদূতের

- আপডেট সময় ০২:৩৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
- / 7
ইরানের সাবেক ইরাক রাষ্ট্রদূত হাসান কাজেমি কোমি দাবি করেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের এক প্রতিশোধমূলক অভিযানে ৩০ জন ইসরায়েলি পাইলট নিহত হয়েছেন। তিনি এ ঘটনাকে ইসরায়েল সরকারের জন্য “একটি গুরুতর ধাক্কা” হিসেবে উল্লেখ করেন। খবর মেহের নিউজের।
এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কোমি বলেন, “এটা কোনো তুচ্ছ ঘটনা নয়। তেলআবিব সরকার এখনো অনেক তথ্য গোপন করে রেখেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য ছিল ইরানে সরকার পতন ঘটানো এবং যুক্তরাষ্ট্রকে আবারো ইরানে হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দেওয়া। তবে এসব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে বলে জানান কোমি।
তার ভাষায়, “ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এবং ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়, যার ফলে ইসরায়েল বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাদের আঞ্চলিক কৌশল ও পরিকল্পনা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক এবং আবাসিক স্থাপনাগুলোর ওপর একযোগে হামলা শুরু করে। টানা ১২ দিন ধরে চলে এই হামলা। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের নাতাঞ্জ, ফোর্দো এবং ইসফাহান এলাকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়।
এর পাল্টা জবাবে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিমান শাখা ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’-এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলের দখলকৃত ভূখণ্ডে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়।
এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ইরান কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি আল-উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা ওয়েস্ট এশিয়ায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে ইরানের একটি বড় বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সবশেষে, ২৪ জুন থেকে কার্যকর হওয়া এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে আপাতত এই সংঘাত বন্ধ রয়েছে। তবে আঞ্চলিক উত্তেজনা এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে আন্তর্জাতিক পরিসরে।