গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

- আপডেট সময় ০২:১০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
- / 5
গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের অবসান এবং একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা আরও জোরদার হচ্ছে। আগামী বুধবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানির সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু করার বিষয়েও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রতিবেদক বারাক রাভিদ।
গত ৬ জুলাই থেকে কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েল ও হামাস প্রতিনিধিদের মধ্যে নতুন একটি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি প্রস্তাবনা, যেখানে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি, ধাপে ধাপে বন্দিমুক্তি, গাজার কিছু অংশ থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনার কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, কাতারে চলমান আলোচনা নিয়ে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, “কাতার এই আলোচনায় অন্যতম প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের কর্মকর্তারা সম্মিলিতভাবে একটি চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”
তবে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা কতটা ও কীভাবে প্রত্যাহার করা হবে এই প্রশ্নে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এখনো বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলের অন্তত ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয় বলে দাবি করে তেলআবিব। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের ওই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
অভিযানের কারণে গাজার প্রায় পুরো জনগোষ্ঠী অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দেখা দিয়েছে মারাত্মক খাদ্যসংকট ও মানবিক বিপর্যয়। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে, যদিও তেলআবিব এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এর আগে মার্চ মাসে হওয়া ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তিও ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর ভেঙে পড়ে। এমন প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রস্তাব দেন, যা মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ এবং ফিলিস্তিনি নেতৃবৃন্দ তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন এবং ‘জাতিগত নির্মূলের পরিকল্পনা’ বলে অভিহিত করেন।