ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারাদেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২১ জন সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত ৫৫ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে: অন্তর্বর্তী সরকার ট্রাম্প প্রশাসন পুড়িয়ে ফেলছে ৫০০ টন জরুরি খাদ্য গোপালগঞ্জ যেন মুজিববাদীদের ঘাঁটি না হয়ে ওঠে: ঘোষণা নাহিদ ইসলামের গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও দেশব্যাপী ব্লকেড কর্মসূচির ডাক এনসিপির উত্তেজনায় রণক্ষেত্রে পরিণত গোপালগঞ্জ, ১৪৪ ধারা জারি মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে: ডিএমপি গল্প দিয়ে ইতিহাস লেখা যায় না: জাতীয় প্রেসক্লাবে ড. মঈন খানের হুঁশিয়ারি চুয়াডাঙ্গায় জমি বিরোধ নিয়ে পৃথক দুই হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

আরও অঞ্চল দখলে নিতে চান পুতিন, বিচলিত নন ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৯:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, পশ্চিমা বিশ্বের আরোপিত শর্তগুলো মেনে না নিলে ইউক্রেনে তার সামরিক অভিযান বন্ধ হবে না। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া নিষেধাজ্ঞার হুমকির পরও ইউক্রেনের আরও অঞ্চল দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পুতিনের। ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রগুলো জানায়, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে দীর্ঘ আট বছর ধরে চলা সংঘর্ষের পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা পাঠান পুতিন। তার ধারণা, রাশিয়ার অর্থনীতি এবং সেনাবাহিনী পশ্চিমা যে কোনো চাপ মোকাবিলায় সক্ষম।

গত সোমবার ট্রাম্প ইউক্রেনকে নতুন করে অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও। পাশাপাশি, তিনি হুমকি দিয়েছেন যে, ৫০ দিনের মধ্যে শান্তি চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

তবে ক্রেমলিন-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, পুতিন বিশ্বাস করেন পশ্চিমা বিশ্বের চাপ ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া তাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল ক্রেতাদের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেও, তাতে পুতিনের অবস্থান পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন মনে করেন, শান্তি আলোচনায় তাকে কেউ গুরুত্ব দিয়ে আমন্ত্রণ জানায়নি। ট্রাম্পের সাথে কয়েকবার টেলিফোনে কথা বলা এবং মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের সফর সত্ত্বেও শান্তির ভিত্তিতে কোনো গভীর আলোচনা হয়নি বলেই তার ধারণা।

সূত্র জানায়, পুতিন উইটকফের সাথে আলোচনা ভালো হয়েছে বলে মনে করেন এবং ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেন। তবে তিনি রাশিয়ার স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখছেন।

পুতিনের আরোপিত শান্তির শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ না করা, ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী সীমিত রাখা, রুশ ভাষাভাষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রাশিয়ার অর্জিত অঞ্চলগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন কখনো দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব স্বীকার করবে না এবং ন্যাটোতে যোগ দেওয়া কিয়েভের সার্বভৌম অধিকার। রাশিয়া ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। গত তিন মাসে আরও প্রায় ১,৪১৫ বর্গকিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে।

একজন সূত্র মন্তব্য করেছেন, “খাওয়ার সঙ্গে ক্ষুধা বাড়ে” এখন পুতিন যত এগিয়ে যাচ্ছেন, ততই নতুন অঞ্চল দখলের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। অপর দুই সূত্রও পুতিনের এই অবস্থানকে স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আরও অঞ্চল দখলে নিতে চান পুতিন, বিচলিত নন ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায়

আপডেট সময় ১২:১৯:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, পশ্চিমা বিশ্বের আরোপিত শর্তগুলো মেনে না নিলে ইউক্রেনে তার সামরিক অভিযান বন্ধ হবে না। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া নিষেধাজ্ঞার হুমকির পরও ইউক্রেনের আরও অঞ্চল দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পুতিনের। ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রগুলো জানায়, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে দীর্ঘ আট বছর ধরে চলা সংঘর্ষের পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা পাঠান পুতিন। তার ধারণা, রাশিয়ার অর্থনীতি এবং সেনাবাহিনী পশ্চিমা যে কোনো চাপ মোকাবিলায় সক্ষম।

গত সোমবার ট্রাম্প ইউক্রেনকে নতুন করে অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও। পাশাপাশি, তিনি হুমকি দিয়েছেন যে, ৫০ দিনের মধ্যে শান্তি চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

তবে ক্রেমলিন-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, পুতিন বিশ্বাস করেন পশ্চিমা বিশ্বের চাপ ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া তাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল ক্রেতাদের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেও, তাতে পুতিনের অবস্থান পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন মনে করেন, শান্তি আলোচনায় তাকে কেউ গুরুত্ব দিয়ে আমন্ত্রণ জানায়নি। ট্রাম্পের সাথে কয়েকবার টেলিফোনে কথা বলা এবং মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের সফর সত্ত্বেও শান্তির ভিত্তিতে কোনো গভীর আলোচনা হয়নি বলেই তার ধারণা।

সূত্র জানায়, পুতিন উইটকফের সাথে আলোচনা ভালো হয়েছে বলে মনে করেন এবং ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেন। তবে তিনি রাশিয়ার স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখছেন।

পুতিনের আরোপিত শান্তির শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ না করা, ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী সীমিত রাখা, রুশ ভাষাভাষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রাশিয়ার অর্জিত অঞ্চলগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন কখনো দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব স্বীকার করবে না এবং ন্যাটোতে যোগ দেওয়া কিয়েভের সার্বভৌম অধিকার। রাশিয়া ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। গত তিন মাসে আরও প্রায় ১,৪১৫ বর্গকিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে।

একজন সূত্র মন্তব্য করেছেন, “খাওয়ার সঙ্গে ক্ষুধা বাড়ে” এখন পুতিন যত এগিয়ে যাচ্ছেন, ততই নতুন অঞ্চল দখলের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। অপর দুই সূত্রও পুতিনের এই অবস্থানকে স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করেছে।