লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১২, উত্তপ্ত সীমান্ত পরিস্থিতি

- আপডেট সময় ১১:১১:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
- / 7
লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে আবারও বাড়ছে উত্তেজনা। মঙ্গলবার লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বেকা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর চালানো বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পাঁচ সদস্য ও সাতজন সিরীয় নাগরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় নিরাপত্তা সূত্র।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই হামলাকে বড় ধরনের সংঘাতের পূর্বাভাস হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হিজবুল্লাহর ‘রাধওয়ান বাহিনী’ পুনর্গঠনের চেষ্টাকে প্রতিহত করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। তাদের অভিযোগ, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, “এই হামলার মাধ্যমে আমরা হিজবুল্লাহকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি পুনর্গঠনের যেকোনো প্রচেষ্টার জবাবে ইসরায়েল সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে।” তিনি আরও জানান, লেবানন সরকারকেও এই বার্তার মাধ্যমে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে, কারণ যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা তাদের দায়িত্ব।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত বছর নভেম্বর মাসে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে সেই যুদ্ধবিরতির পর এটিই ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। হিজবুল্লাহ এই হামলার নিন্দা জানিয়ে একে ‘লেবাননের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের ভয়াবহ উত্তেজনা’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে তাদের পক্ষ থেকে নিহত যোদ্ধাদের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
বেকা অঞ্চলের গভর্নর বশির খোদর জানান, নিহতদের মধ্যে সাতজন সিরীয় নাগরিক রয়েছেন। হামলায় ধ্বংস হয়েছে হিজবুল্লাহর একটি প্রশিক্ষণ শিবির ও অস্ত্রাগার।
উল্লেখ্য, গত বছরের সংঘাতে হিজবুল্লাহ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। ইসরায়েলি হামলায় গোষ্ঠীটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস হয়।
লেবানন সরকারের পক্ষ থেকেও এই হামলা নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে সাম্প্রতিক এ ঘটনা সীমান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।