ইসরাইল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়ালে মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলার প্রস্তুতি ইরানের: গোয়েন্দা কর্মকর্তারা

- আপডেট সময় ১১:২৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
- / 4
মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ইসরাইল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি জড়িয়ে পড়ে, তবে তেহরান মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন পর্যালোচনাকারী কর্মকর্তারা।
বুধবার (১৭ জুন) নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান ইতোমধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুত রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে প্রায় তিন ডজন জ্বালানিবাহী বিমান পাঠিয়েছে, যেগুলো মার্কিন যুদ্ধবিমানকে সহায়তা করতে ব্যবহৃত হতে পারে। একই সঙ্গে এগুলো ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমারু বিমান হামলার পরিসরও বাড়াতে পারে।
ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ দিচ্ছে যাতে তারা ইরানের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, এতে আরও বিস্তৃত যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে।
বিশেষ করে যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, তাহলে ইরান-সমর্থিত হুতি মিলিশিয়ারা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর হামলা শুরু করতে পারে। একই সঙ্গে ইরাক ও সিরিয়ার ইরানপন্থি মিলিশিয়ারাও সেসব অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান এবং সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ঘাঁটিতে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। বর্তমানে ওই অঞ্চলে প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।
দুই ইরানি কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে যুদ্ধে অংশ নেয়, তাহলে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাবে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের শত্রুদের বুঝতে হবে, তারা সামরিক শক্তি দিয়ে আমাদের উপর কোনো সমাধান চাপিয়ে দিতে পারবে না।”
তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপে সতর্ক করেন, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে তার দায় ইসরাইল ও তাদের মিত্রদের উপরই পড়বে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস আরও জানায়, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ অংশগ্রহণের সম্ভাবনা বেড়েছে, কারণ ইসরাইল তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং ইরান পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় হোয়াইট হাউজে একটি জরুরি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে।