ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বৈঠকে অসমাপ্ত আলোচনা: ট্রাম্প ও পুতিনের কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ

শ্যাম্পুর চাকরির প্রলোভনে যুদ্ধের ময়দানে পাঠানো হচ্ছে আফ্রিকান যুবকদের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 23

ছবি সংগৃহীত

 

আফ্রিকান দরিদ্র কৃষক ও যুবকদের ‘শ্যাম্পু কারখানায় চাকরি’ দেওয়ার নাম করে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার একটি মানবপাচার চক্র আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে ছদ্মবেশে ‘চাকরির এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করছে। তারা স্থানীয় বেকার তরুণদের রাশিয়ার নামী প্রসাধনী কোম্পানিতে কাজের লোভ দেখিয়ে আকর্ষণ করে। বলা হয়, মাসে মোটা অঙ্কের বেতন, থাকা-খাওয়ার সুবিধা এবং বৈধ কাজের কাগজ মিলবে।

তবে বাস্তব চিত্র একেবারে ভিন্ন। রাশিয়ায় পৌঁছেই ওইসব যুবকদের ‘চাকরি’ নামক স্বপ্নে ছেদ পড়ে। তাদের জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় সামরিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে। শুরু হয় অস্ত্র চালনা ও রণকৌশলের কড়া প্রশিক্ষণ। এরপর এক সময় তাদের পাঠানো হয় ইউক্রেন যুদ্ধের সম্মুখভাগে যেখানে তারা জীবন হারাচ্ছেন বা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হচ্ছেন।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এটি একেবারে নতুন রকমের মানবপাচার কৌশল, যেখানে যুদ্ধ ব্যবস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরিচালিত হচ্ছে প্রতারণামূলক নিয়োগ কার্যক্রম। চাকরির নাম করে মানুষকে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘জীবন্ত ঢাল’ হিসেবে। আর এর নেপথ্যে কাজ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সমর্থনপুষ্ট একটি শক্তিশালী চক্র।

এদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও জানিয়েছে, তারা যুদ্ধের ময়দানে বহু আফ্রিকান তরুণকে পেয়েছে যাদের যুদ্ধের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। অধিকাংশই জানেন না কেন বা কী উদ্দেশ্যে তারা এখানে পাঠানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত রাশিয়া এখন জনবলের সংকটে পড়ায় নানা কৌশলে সেনা সংগ্রহে নামছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় আফ্রিকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বেছে নেওয়া হয়েছে সহজ টার্গেট হিসেবে।

এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।

তবে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

শ্যাম্পুর চাকরির প্রলোভনে যুদ্ধের ময়দানে পাঠানো হচ্ছে আফ্রিকান যুবকদের

আপডেট সময় ০১:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

 

আফ্রিকান দরিদ্র কৃষক ও যুবকদের ‘শ্যাম্পু কারখানায় চাকরি’ দেওয়ার নাম করে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার একটি মানবপাচার চক্র আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে ছদ্মবেশে ‘চাকরির এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করছে। তারা স্থানীয় বেকার তরুণদের রাশিয়ার নামী প্রসাধনী কোম্পানিতে কাজের লোভ দেখিয়ে আকর্ষণ করে। বলা হয়, মাসে মোটা অঙ্কের বেতন, থাকা-খাওয়ার সুবিধা এবং বৈধ কাজের কাগজ মিলবে।

তবে বাস্তব চিত্র একেবারে ভিন্ন। রাশিয়ায় পৌঁছেই ওইসব যুবকদের ‘চাকরি’ নামক স্বপ্নে ছেদ পড়ে। তাদের জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় সামরিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে। শুরু হয় অস্ত্র চালনা ও রণকৌশলের কড়া প্রশিক্ষণ। এরপর এক সময় তাদের পাঠানো হয় ইউক্রেন যুদ্ধের সম্মুখভাগে যেখানে তারা জীবন হারাচ্ছেন বা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হচ্ছেন।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এটি একেবারে নতুন রকমের মানবপাচার কৌশল, যেখানে যুদ্ধ ব্যবস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরিচালিত হচ্ছে প্রতারণামূলক নিয়োগ কার্যক্রম। চাকরির নাম করে মানুষকে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘জীবন্ত ঢাল’ হিসেবে। আর এর নেপথ্যে কাজ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সমর্থনপুষ্ট একটি শক্তিশালী চক্র।

এদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও জানিয়েছে, তারা যুদ্ধের ময়দানে বহু আফ্রিকান তরুণকে পেয়েছে যাদের যুদ্ধের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। অধিকাংশই জানেন না কেন বা কী উদ্দেশ্যে তারা এখানে পাঠানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত রাশিয়া এখন জনবলের সংকটে পড়ায় নানা কৌশলে সেনা সংগ্রহে নামছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় আফ্রিকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বেছে নেওয়া হয়েছে সহজ টার্গেট হিসেবে।

এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।

তবে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।