ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইসলাম ব্যবসার ক্ষেত্রে অতিমুনাফাকে সমর্থন করে না: পরিবেশ উপদেষ্টা করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করাও অপরাধের শামিল : অ্যাটর্নি জেনারেল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ দুই বছর বাড়ল, উৎপাদন শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা ভারতের উত্তর প্রদেশে বিয়ের গাড়ি দুর্ঘটনা, বরসহ নিহত একই পরিবারের ৮ জন শেরপুরের কাটাবাড়ী সীমান্তে বিদ্যুৎস্পর্শে বন্য হাতির মৃত্যু, উদ্বিগ্ন পরিবেশকর্মীরা নওগাঁর রায়হান আলম: আমচাষে নবজাগরণ ঘটানো এক সাহসী কৃষক গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে আগামী সপ্তাহেই : ট্রাম্প কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ডোনেশন ওয়েবসাইট উদ্বোধন কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার: দুই দিন পর মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ২ জন

ইউরোপে সর্বোচ্চ অবসরের বয়সের রেকর্ড গড়ছে ডেনমার্ক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 16

ছবি সংগৃহীত

 

ডেনমার্কে অবসরের বয়স ৭০ বছরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এরইমধ্যে ডেনমার্কের পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে এটি হবে সর্বোচ্চ অবসরের বয়সসীমা।

গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) পার্লামেন্টে এই আইন পাশ হয়। এতে ৮১ জন সংসদ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন, আর বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ২১টি। ফলে বড় ব্যবধানে নতুন অবসরের বয়স বৃদ্ধির প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।

নতুন এই আইন অনুযায়ী, ১৯৭০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর জন্ম নেওয়া নাগরিকদের ক্ষেত্রেই ৭০ বছর বয়সে অবসরের নিয়ম প্রযোজ্য হবে। বর্তমানে ডেনমার্কে অবসরের বয়স ৬৭ বছর। তবে ১৯৬৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্ম নেওয়া নাগরিকদের ক্ষেত্রে এটি ৬৯ বছর পর্যন্ত যেতে পারে।

পর্যায়ক্রমে অবসরের বয়স বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। ২০৩০ সালে এটি ৬৭ থেকে বাড়িয়ে ৬৮ বছর করা হবে, ২০৩৫ সালে ৬৯ এবং ২০৪০ সালে তা পৌঁছাবে ৭০ বছরে। অর্থাৎ, ২০৪০ সাল থেকেই নতুন আইনটি পূর্ণভাবে কার্যকর হবে।

ডেনমার্কের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। যার মধ্যে প্রায় ৭ লাখ ১৩ হাজার নাগরিকের বয়স ৬০ থেকে ৬৯ এর মধ্যে এবং ৫ লাখ ৮০ হাজার নাগরিকের বয়স ৭০ থেকে ৭৯ বছর।

নতুন এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে দেশটির কর্মসংস্থানমন্ত্রী অ্যান হ্যালসবো-জর্গেনসেন এক বিবৃতিতে বলেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণ ও টেকসই পেনশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমাদের অবসরের বয়স বৃদ্ধি করতে হচ্ছে।”

ডেনমার্কের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এটিকে ভবিষ্যতের কর্মজীবী সমাজের জন্য একটি বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন বয়স্কদের দীর্ঘ সময় কাজ করার সক্ষমতা নিয়ে।

তবে সরকার বলছে, গড় আয়ু যেহেতু বাড়ছে, তাই কর্মক্ষম জীবনও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আর সেই বাস্তবতায় সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই রাখতে এমন উদ্যোগ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউরোপে সর্বোচ্চ অবসরের বয়সের রেকর্ড গড়ছে ডেনমার্ক

আপডেট সময় ০৪:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

ডেনমার্কে অবসরের বয়স ৭০ বছরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এরইমধ্যে ডেনমার্কের পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে এটি হবে সর্বোচ্চ অবসরের বয়সসীমা।

গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) পার্লামেন্টে এই আইন পাশ হয়। এতে ৮১ জন সংসদ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন, আর বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ২১টি। ফলে বড় ব্যবধানে নতুন অবসরের বয়স বৃদ্ধির প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।

নতুন এই আইন অনুযায়ী, ১৯৭০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর জন্ম নেওয়া নাগরিকদের ক্ষেত্রেই ৭০ বছর বয়সে অবসরের নিয়ম প্রযোজ্য হবে। বর্তমানে ডেনমার্কে অবসরের বয়স ৬৭ বছর। তবে ১৯৬৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্ম নেওয়া নাগরিকদের ক্ষেত্রে এটি ৬৯ বছর পর্যন্ত যেতে পারে।

পর্যায়ক্রমে অবসরের বয়স বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। ২০৩০ সালে এটি ৬৭ থেকে বাড়িয়ে ৬৮ বছর করা হবে, ২০৩৫ সালে ৬৯ এবং ২০৪০ সালে তা পৌঁছাবে ৭০ বছরে। অর্থাৎ, ২০৪০ সাল থেকেই নতুন আইনটি পূর্ণভাবে কার্যকর হবে।

ডেনমার্কের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। যার মধ্যে প্রায় ৭ লাখ ১৩ হাজার নাগরিকের বয়স ৬০ থেকে ৬৯ এর মধ্যে এবং ৫ লাখ ৮০ হাজার নাগরিকের বয়স ৭০ থেকে ৭৯ বছর।

নতুন এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে দেশটির কর্মসংস্থানমন্ত্রী অ্যান হ্যালসবো-জর্গেনসেন এক বিবৃতিতে বলেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণ ও টেকসই পেনশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমাদের অবসরের বয়স বৃদ্ধি করতে হচ্ছে।”

ডেনমার্কের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এটিকে ভবিষ্যতের কর্মজীবী সমাজের জন্য একটি বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন বয়স্কদের দীর্ঘ সময় কাজ করার সক্ষমতা নিয়ে।

তবে সরকার বলছে, গড় আয়ু যেহেতু বাড়ছে, তাই কর্মক্ষম জীবনও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আর সেই বাস্তবতায় সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই রাখতে এমন উদ্যোগ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।