০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

চলতি মাসে সাগরে নৌকাডুবিতে ৪২৭ রোহিঙ্গার মর্মান্তিক মৃত্যু: ইউএনএইচসিআর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 85

ছবি সংগৃহীত

 

আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে নিরাপদ জীবনের আশায় যাত্রা করে প্রাণ হারালেন অন্তত ৪২৭ জন রোহিঙ্গা। মিয়ানমার উপকূলে দুটি পৃথক নৌকাডুবির ঘটনায় এই বিপুল প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে চলতি মে মাসের শুরুতে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর নিশ্চিত করেছে এই মর্মান্তিক খবর।

শুক্রবার (২৩ মে) রাতে ইউএনএইচসিআরের কক্সবাজারের যোগাযোগ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দুটি নৌকায় মোট ৫১৪ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। এর মধ্যে প্রথম নৌকাটি ৯ মে ডুবে যায়, যেখানে ২৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের অধিকাংশই কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে যাত্রা করেছিলেন। বেঁচে গেছেন মাত্র ৬৬ জন। পরদিন ১০ মে দ্বিতীয় নৌকাটি ডুবে যায়, যেখানে ছিলেন ২৪৭ জন রোহিঙ্গা। সেখান থেকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে মাত্র ২১ জনকে।

বিজ্ঞাপন

ইউএনএইচসিআর বলছে, এই বিপজ্জনক সমুদ্রপথে প্রতি পাঁচজন যাত্রীর মধ্যে একজনের মৃত্যু বা নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ফলে আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর এখন বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী সমুদ্রপথে পরিণত হয়েছে।

এছাড়াও আরও একটি নৌকায় ১৮৮ জন রোহিঙ্গা ছিলেন, যেটিকে ১৪ মে মিয়ানমার উপকূলে আটকে দেওয়া হয়। ইউএনএইচসিআর বলছে, বর্তমানে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের পরিচয় ও তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কার্যালয়ের পরিচালক হাই কিয়ং জুন জানান, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। সহায়তা তহবিল সংকোচনের ফলে তারা মর্যাদাসম্পন্ন জীবনের খোঁজে ঝুঁকিপূর্ণ পথে যাত্রা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে বর্ষাকাল শুরু হওয়ায় সমুদ্র এখন আরও উত্তাল, যা যাত্রাকে প্রাণঘাতী করে তুলেছে।

তিনি বলেন, সমুদ্রে বিপদে পড়া মানুষদের উদ্ধার করা আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের আওতায় একটি মানবিক দায়িত্ব। ভবিষ্যতে এমন ট্র্যাজেডি এড়াতে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

২০২৫ সালে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইউএনএইচসিআর ৩৮৩ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার তহবিল চাইলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ অর্থ সংগ্রহ হয়েছে।

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা মো. জোয়ের বলেন, দালালদের মিথ্যা আশ্বাসে পড়ে রোহিঙ্গারা সাগর পাড়ি দিচ্ছেন। দালালরা চাইছে, রোহিঙ্গারা যেন রাখাইনে ফিরে না যায়। তিনি মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

চলতি মাসে সাগরে নৌকাডুবিতে ৪২৭ রোহিঙ্গার মর্মান্তিক মৃত্যু: ইউএনএইচসিআর

আপডেট সময় ১০:২৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে নিরাপদ জীবনের আশায় যাত্রা করে প্রাণ হারালেন অন্তত ৪২৭ জন রোহিঙ্গা। মিয়ানমার উপকূলে দুটি পৃথক নৌকাডুবির ঘটনায় এই বিপুল প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে চলতি মে মাসের শুরুতে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর নিশ্চিত করেছে এই মর্মান্তিক খবর।

শুক্রবার (২৩ মে) রাতে ইউএনএইচসিআরের কক্সবাজারের যোগাযোগ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দুটি নৌকায় মোট ৫১৪ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। এর মধ্যে প্রথম নৌকাটি ৯ মে ডুবে যায়, যেখানে ২৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের অধিকাংশই কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে যাত্রা করেছিলেন। বেঁচে গেছেন মাত্র ৬৬ জন। পরদিন ১০ মে দ্বিতীয় নৌকাটি ডুবে যায়, যেখানে ছিলেন ২৪৭ জন রোহিঙ্গা। সেখান থেকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে মাত্র ২১ জনকে।

বিজ্ঞাপন

ইউএনএইচসিআর বলছে, এই বিপজ্জনক সমুদ্রপথে প্রতি পাঁচজন যাত্রীর মধ্যে একজনের মৃত্যু বা নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ফলে আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর এখন বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী সমুদ্রপথে পরিণত হয়েছে।

এছাড়াও আরও একটি নৌকায় ১৮৮ জন রোহিঙ্গা ছিলেন, যেটিকে ১৪ মে মিয়ানমার উপকূলে আটকে দেওয়া হয়। ইউএনএইচসিআর বলছে, বর্তমানে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের পরিচয় ও তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কার্যালয়ের পরিচালক হাই কিয়ং জুন জানান, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে। সহায়তা তহবিল সংকোচনের ফলে তারা মর্যাদাসম্পন্ন জীবনের খোঁজে ঝুঁকিপূর্ণ পথে যাত্রা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে বর্ষাকাল শুরু হওয়ায় সমুদ্র এখন আরও উত্তাল, যা যাত্রাকে প্রাণঘাতী করে তুলেছে।

তিনি বলেন, সমুদ্রে বিপদে পড়া মানুষদের উদ্ধার করা আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের আওতায় একটি মানবিক দায়িত্ব। ভবিষ্যতে এমন ট্র্যাজেডি এড়াতে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

২০২৫ সালে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইউএনএইচসিআর ৩৮৩ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার তহবিল চাইলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ অর্থ সংগ্রহ হয়েছে।

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা মো. জোয়ের বলেন, দালালদের মিথ্যা আশ্বাসে পড়ে রোহিঙ্গারা সাগর পাড়ি দিচ্ছেন। দালালরা চাইছে, রোহিঙ্গারা যেন রাখাইনে ফিরে না যায়। তিনি মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।