ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

ফিলিপাইনে চলছে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মিত্র মার্কোস ও সারা দুতের্তে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 23

ছবি: সংগৃহীত

 

ফিলিপাইনে শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত মধ্যবর্তী নির্বাচন। বিশ্লেষকদের মতে, সোমবার (১২ মে) অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এবং অভিশংসিত সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতের্তের মধ্যে ছায়া সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। এক সময়ের রাজনৈতিক মিত্র এখন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী।

প্রায় ১১ কোটি জনসংখ্যার এই দ্বীপরাষ্ট্রে ১৮,০০০-এর বেশি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে মেয়র, গভর্নর, কংগ্রেস সদস্য এবং ২৪ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় সিনেটের ১২টি আসন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ১২টি সিনেট আসনের ফলাফলই ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক চিত্র অনেকটাই নির্ধারণ করবে।

সিনেটেই ঠিক হবে সারা দুতের্তের ভাগ্য। যদি তিনি অন্তত ৯টি ভোট না পান, তবে তাকে আজীবনের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনে অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে। ফলে, এই নির্বাচন তার জন্য অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।

অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট মার্কোসের জন্যও এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এবং ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের উত্তরসূরি নির্ধারণে এই ফলাফলের বড় প্রভাব পড়বে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিনেটে সারা দুতের্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও প্রেসিডেন্ট হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর মার্চে তার পিতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানো হয়, যেখানে তার বিরুদ্ধে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’-এর অভিযোগে বিচার চলছে।

সারা দুতের্তে এ ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক অপহরণ’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “দুতের্তে পরিবারকে সরিয়ে দিলে লাভবান হবে কারা? অবশ্যই ফিলিপিনো জনগণ নয়।”

এর মধ্যেই আইসিসিতে আটক থাকা অবস্থাতেই রদ্রিগো দুতের্তে নিজ শহর দাবাও সিটির মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন। ফিলিপাইনের আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত না হলে প্রার্থী হওয়া বৈধ। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, দাবাওতে এখনো তার জনপ্রিয়তা অটুট।

নির্বাচন ঘিরে সারা দেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ১,৬৩,০০০-এর বেশি পুলিশ সদস্য। সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মাঠে সক্রিয় রয়েছে।

এই নির্বাচন শুধু কয়েকটি পদে বিজয়-পরাজয়ের বিষয় নয়, এটি ফিলিপাইনের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিলিপাইনে চলছে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মিত্র মার্কোস ও সারা দুতের্তে

আপডেট সময় ০১:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

ফিলিপাইনে শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত মধ্যবর্তী নির্বাচন। বিশ্লেষকদের মতে, সোমবার (১২ মে) অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এবং অভিশংসিত সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতের্তের মধ্যে ছায়া সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। এক সময়ের রাজনৈতিক মিত্র এখন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী।

প্রায় ১১ কোটি জনসংখ্যার এই দ্বীপরাষ্ট্রে ১৮,০০০-এর বেশি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে মেয়র, গভর্নর, কংগ্রেস সদস্য এবং ২৪ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় সিনেটের ১২টি আসন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ১২টি সিনেট আসনের ফলাফলই ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক চিত্র অনেকটাই নির্ধারণ করবে।

সিনেটেই ঠিক হবে সারা দুতের্তের ভাগ্য। যদি তিনি অন্তত ৯টি ভোট না পান, তবে তাকে আজীবনের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনে অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে। ফলে, এই নির্বাচন তার জন্য অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।

অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট মার্কোসের জন্যও এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এবং ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের উত্তরসূরি নির্ধারণে এই ফলাফলের বড় প্রভাব পড়বে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিনেটে সারা দুতের্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও প্রেসিডেন্ট হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর মার্চে তার পিতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানো হয়, যেখানে তার বিরুদ্ধে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’-এর অভিযোগে বিচার চলছে।

সারা দুতের্তে এ ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক অপহরণ’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “দুতের্তে পরিবারকে সরিয়ে দিলে লাভবান হবে কারা? অবশ্যই ফিলিপিনো জনগণ নয়।”

এর মধ্যেই আইসিসিতে আটক থাকা অবস্থাতেই রদ্রিগো দুতের্তে নিজ শহর দাবাও সিটির মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন। ফিলিপাইনের আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত না হলে প্রার্থী হওয়া বৈধ। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, দাবাওতে এখনো তার জনপ্রিয়তা অটুট।

নির্বাচন ঘিরে সারা দেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ১,৬৩,০০০-এর বেশি পুলিশ সদস্য। সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মাঠে সক্রিয় রয়েছে।

এই নির্বাচন শুধু কয়েকটি পদে বিজয়-পরাজয়ের বিষয় নয়, এটি ফিলিপাইনের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়।