০১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

পানামা ও সুয়েজ খাল দিয়ে ফ্রিতে মার্কিন জাহাজ চলাচলের দাবি ট্রাম্পের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

 

পানামা ও সুয়েজ খাল দিয়ে মার্কিন সামরিক ও বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে বিনামূল্যে চলাচলের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প কয়েক মাস ধরেই পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা বলে আসছেন। এবার তার নজর পড়েছে সুয়েজ খালের দিকেও।

ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকান সামরিক ও বাণিজ্যিক জাহাজকে পানামা ও সুয়েজ খাল দিয়ে ফ্রি চলাচলের অনুমতি দেওয়া উচিত।” তিনি আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথের অস্তিত্বই থাকত না।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুইনো সরাসরি তার নাম উল্লেখ না করে বলেন, পানামা খালের টোল ফি নিয়ন্ত্রণ করে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা – পানামা খাল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তি বা আলোচনা নেই।

বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক জলপথ নিয়ে ট্রাম্পের এমন মন্তব্য কূটনৈতিকভাবে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে। পানামা ও সুয়েজ খাল বিশ্ব বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পথ, যার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি সরগরম হয়েছে।

উল্লেখ্য, পানামা খাল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অতীতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১৯১৪ সালে খালটি চালু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হতো। পরে ১৯৯৯ সালে পানামার হাতে খালের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করা হয়। অন্যদিকে, সুয়েজ খালটি মিশরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এটি ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে সরাসরি নৌপথের অন্যতম প্রধান সেতুবন্ধন।

বিশ্ব রাজনীতিতে এই দুই খালের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্পের এমন দাবি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সমীকরণে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

নিউজটি শেয়ার করুন

পানামা ও সুয়েজ খাল দিয়ে ফ্রিতে মার্কিন জাহাজ চলাচলের দাবি ট্রাম্পের

আপডেট সময় ১২:০২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 

 

পানামা ও সুয়েজ খাল দিয়ে মার্কিন সামরিক ও বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে বিনামূল্যে চলাচলের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প কয়েক মাস ধরেই পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা বলে আসছেন। এবার তার নজর পড়েছে সুয়েজ খালের দিকেও।

ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকান সামরিক ও বাণিজ্যিক জাহাজকে পানামা ও সুয়েজ খাল দিয়ে ফ্রি চলাচলের অনুমতি দেওয়া উচিত।” তিনি আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথের অস্তিত্বই থাকত না।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুইনো সরাসরি তার নাম উল্লেখ না করে বলেন, পানামা খালের টোল ফি নিয়ন্ত্রণ করে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা – পানামা খাল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তি বা আলোচনা নেই।

বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক জলপথ নিয়ে ট্রাম্পের এমন মন্তব্য কূটনৈতিকভাবে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে। পানামা ও সুয়েজ খাল বিশ্ব বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পথ, যার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি সরগরম হয়েছে।

উল্লেখ্য, পানামা খাল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অতীতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১৯১৪ সালে খালটি চালু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হতো। পরে ১৯৯৯ সালে পানামার হাতে খালের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করা হয়। অন্যদিকে, সুয়েজ খালটি মিশরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এটি ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে সরাসরি নৌপথের অন্যতম প্রধান সেতুবন্ধন।

বিশ্ব রাজনীতিতে এই দুই খালের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্পের এমন দাবি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সমীকরণে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।