০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ফেনীতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ২ “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: বাফার জোনে বাংলাদেশ ও সৌদি সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা” আজ দেখা যাবে বিরল ‘ব্লাড মুন’ ইসরায়েলি হামলার শিকার: গাজার ২৭০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার তুরাগ নদীর ১৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ে অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে, তারাই এখন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩ লেবাননে সব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত, নিহত আরো ২৯

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • / 26

ছবি সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) নতুন করে বিমান ও স্থল অভিযানে কমপক্ষে ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বোমা হামলা থেকে রক্ষা পাননি শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারাও। গাজা শহরের একটি তাঁবু ক্যাম্পে হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত তিনজন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।

অবস্থানগতভাবে গাজা বর্তমানে বিচ্ছিন্ন ও বিপর্যস্ত। ইসরায়েলি বাহিনী বিভিন্ন সংযোগ সড়ক বন্ধ করে অঞ্চলটিকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে ফেলেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গাজার প্রায় ৬৯ শতাংশ এলাকাকে ‘নো-গো জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ, যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান থেমে নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে কমপক্ষে তিনজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের দাবি, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এক ধরনের পরিকল্পিত দমননীতি।

এদিকে ইসরায়েলি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের আবারও আটক করার চিন্তা করছে নেতানিয়াহুর সরকার, যার মাধ্যমে হামাসের ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগের কৌশল নেওয়া হচ্ছে।

লোহিত সাগরে চলমান উত্তেজনাও বাড়ছে। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি মার্কিন বিমানবাহী জাহাজে হামলার দাবি করেছে। এর প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুতিদের বিরুদ্ধে ‘শক্তিশালী জবাব’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।

গাজা উপত্যকার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও মানবিক অনুভূতি প্রকাশ করতে ভুলছেন না সেখানকার সাধারণ মানুষ। খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর খবরে ফিলিস্তিনিরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। যুদ্ধকালীন সময়েও পোপ ফ্রান্সিস গাজার সঙ্গে নিয়মিত ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করে গেছেন, যা ফিলিস্তিনিদের জন্য ছিল এক নিঃশব্দ প্রেরণা।

এই মুহূর্তে গাজা যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরবতা ও কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে একের পর এক প্রাণ ঝরে পড়ছে—শুধু ভিন্ন জাতি ও ভিন্ন ভূখণ্ডে জন্ম নেবার অপরাধে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত, নিহত আরো ২৯

আপডেট সময় ১১:০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) নতুন করে বিমান ও স্থল অভিযানে কমপক্ষে ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বোমা হামলা থেকে রক্ষা পাননি শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারাও। গাজা শহরের একটি তাঁবু ক্যাম্পে হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত তিনজন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।

অবস্থানগতভাবে গাজা বর্তমানে বিচ্ছিন্ন ও বিপর্যস্ত। ইসরায়েলি বাহিনী বিভিন্ন সংযোগ সড়ক বন্ধ করে অঞ্চলটিকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে ফেলেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গাজার প্রায় ৬৯ শতাংশ এলাকাকে ‘নো-গো জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ, যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান থেমে নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে কমপক্ষে তিনজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের দাবি, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এক ধরনের পরিকল্পিত দমননীতি।

এদিকে ইসরায়েলি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের আবারও আটক করার চিন্তা করছে নেতানিয়াহুর সরকার, যার মাধ্যমে হামাসের ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগের কৌশল নেওয়া হচ্ছে।

লোহিত সাগরে চলমান উত্তেজনাও বাড়ছে। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি মার্কিন বিমানবাহী জাহাজে হামলার দাবি করেছে। এর প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুতিদের বিরুদ্ধে ‘শক্তিশালী জবাব’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।

গাজা উপত্যকার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও মানবিক অনুভূতি প্রকাশ করতে ভুলছেন না সেখানকার সাধারণ মানুষ। খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর খবরে ফিলিস্তিনিরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। যুদ্ধকালীন সময়েও পোপ ফ্রান্সিস গাজার সঙ্গে নিয়মিত ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করে গেছেন, যা ফিলিস্তিনিদের জন্য ছিল এক নিঃশব্দ প্রেরণা।

এই মুহূর্তে গাজা যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরবতা ও কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে একের পর এক প্রাণ ঝরে পড়ছে—শুধু ভিন্ন জাতি ও ভিন্ন ভূখণ্ডে জন্ম নেবার অপরাধে।