ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

বোয়িংকে টার্গেটে চীন, তীব্র হচ্ছে ওয়াশিংটন-বেইজিং বাণিজ্য দ্বন্দ্ব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:০০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

 

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। সর্বশেষ পরিস্থিতিতে, চীনের সরকারি নির্দেশে দেশটির বিমান সংস্থাগুলোকে বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে নতুন কোনো বিমান অর্ডার না দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো কোম্পানির কাছ থেকে বিমানের যন্ত্রাংশ বা সরঞ্জাম কেনাকাটাও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বেইজিং।

এই সিদ্ধান্ত এসেছে এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর পাল্টা হিসেবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই পক্ষের এই কঠোর অবস্থান ভবিষ্যতের বৈশ্বিক বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

ব্লুমবার্গের বরাতে জানা যায়, বোয়িংয়ের বিমান এখন চীনের জন্য আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ব্যয়ে পড়বে। এই অতিরিক্ত ব্যয় সামাল দিতে চীনা সরকার বিমান সংস্থাগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনাও করছে। তবে এই পরিস্থিতি বোয়িংয়ের জন্য এক কঠিন সংকেত। কারণ, প্রতিষ্ঠানটি তাদের বৃহত্তম বাজারগুলোর একটি হারাতে বসেছে।

চীনের বাজার বোয়িংয়ের জন্য সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ২০১৮ সালে বোয়িংয়ের মোট বিক্রির প্রায় এক-চতুর্থাংশই এসেছিল চীন থেকে। এমনকি আগামী দুই দশকে বৈশ্বিক বিমান চাহিদার অন্তত ২০ শতাংশ চীন থেকেই আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাত্র দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছিল, যেন তারা আরোপিত উচ্চ শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে নেয়। তবে উল্টো অবস্থানে দেখা গেছে ট্রাম্প প্রশাসনকে। যদিও গত সপ্তাহে ট্রাম্প কিছু প্রযুক্তিপণ্যের ওপর শুল্ক থেকে ছাড় দিয়েছেন, যা অ্যাপলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য স্বস্তির বিষয়, তবুও তার শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা বিশ্ব বাজারকে অস্থির করে তুলেছে।

বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির এই লড়াই কেবল বিমান শিল্প নয়, প্রযুক্তি ও অন্যান্য খাতে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ সমাধানের বদলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বোয়িংকে টার্গেটে চীন, তীব্র হচ্ছে ওয়াশিংটন-বেইজিং বাণিজ্য দ্বন্দ্ব

আপডেট সময় ০৮:০০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

 

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। সর্বশেষ পরিস্থিতিতে, চীনের সরকারি নির্দেশে দেশটির বিমান সংস্থাগুলোকে বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে নতুন কোনো বিমান অর্ডার না দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো কোম্পানির কাছ থেকে বিমানের যন্ত্রাংশ বা সরঞ্জাম কেনাকাটাও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বেইজিং।

এই সিদ্ধান্ত এসেছে এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর পাল্টা হিসেবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই পক্ষের এই কঠোর অবস্থান ভবিষ্যতের বৈশ্বিক বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

ব্লুমবার্গের বরাতে জানা যায়, বোয়িংয়ের বিমান এখন চীনের জন্য আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ব্যয়ে পড়বে। এই অতিরিক্ত ব্যয় সামাল দিতে চীনা সরকার বিমান সংস্থাগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনাও করছে। তবে এই পরিস্থিতি বোয়িংয়ের জন্য এক কঠিন সংকেত। কারণ, প্রতিষ্ঠানটি তাদের বৃহত্তম বাজারগুলোর একটি হারাতে বসেছে।

চীনের বাজার বোয়িংয়ের জন্য সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ২০১৮ সালে বোয়িংয়ের মোট বিক্রির প্রায় এক-চতুর্থাংশই এসেছিল চীন থেকে। এমনকি আগামী দুই দশকে বৈশ্বিক বিমান চাহিদার অন্তত ২০ শতাংশ চীন থেকেই আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাত্র দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছিল, যেন তারা আরোপিত উচ্চ শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে নেয়। তবে উল্টো অবস্থানে দেখা গেছে ট্রাম্প প্রশাসনকে। যদিও গত সপ্তাহে ট্রাম্প কিছু প্রযুক্তিপণ্যের ওপর শুল্ক থেকে ছাড় দিয়েছেন, যা অ্যাপলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য স্বস্তির বিষয়, তবুও তার শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা বিশ্ব বাজারকে অস্থির করে তুলেছে।

বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির এই লড়াই কেবল বিমান শিল্প নয়, প্রযুক্তি ও অন্যান্য খাতে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ সমাধানের বদলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে।