ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সেনাপ্রধানের সঙ্গে মার্কিন সিনেটরের সৌজন্য সাক্ষাৎ: সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্ব বিশ্ববাজারে কমলো সয়াবিন-ক্যানোলা তেলের দাম, ঊর্ধ্বমুখী সানফ্লাওয়ার-পাম তেল এনআইডি ইস্যুতে ‘অপারেশনাল হল্ট’ স্থগিত, দাবি আদায়ে কঠোর হুঁশিয়ারি সৌদি কর্তৃপক্ষ ওমরাহ ভিসা বন্ধ করেনি: ধর্ম উপদেষ্টা তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর ও গুরুতর: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে না : অর্থ উপদেষ্টা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে আটকে গেল নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নতুন রেকর্ড, ডিজিটাল অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ঈদের সিনেমার হাওয়া: প্রশংসায় এগিয়ে ‘জংলি’ ও ‘দাগি’ পটুয়াখালীর নদ-নদীতে নাব্যতা সংকট, চরম ভোগান্তিতে উপকূলবাসী

রমজানে ফলের দাম নিয়ন্ত্রণে এনবিআরের শুল্ক-কর হ্রাস

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

রমজান মাসে সাধারণ জনগণের জন্য ফলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানিকৃত তাজা ফলের ওপর শুল্ক ও কর ১৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বৃহত্তর জনস্বার্থে তাজা ফল আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে আরোপিত ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, গত ১০ মার্চ জারি করা পৃথক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ফল আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম আয়করের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে, মোট শুল্ক-কর ১৫ শতাংশ হ্রাস পেল, যা ফলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

সরকার সাধারণ জনগণের স্বার্থে রমজান উপলক্ষে একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর ছাড় দিয়েছে। এর মধ্যে ভোজ্য তেল, চিনি, আলু, ডিম, পেঁয়াজ, চাল, খেজুর এবং কীটনাশকের আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি, ভ্যাট, অগ্রিম আয়কর ও আগাম করের ক্ষেত্রে ব্যাপক ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এনবিআর জানিয়েছে, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে এবছর রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এসব করছাড় বাজারে সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, ফলে ভোক্তারা তুলনামূলক কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবেন।

শুধু খাদ্যপণ্য নয়, সরকার সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলোর ওপরও কর ছাড়ের ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে মেট্রোরেলের ভ্যাট সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা শহরবাসীর পরিবহন ব্যয় কমাবে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ই-বুক সেবায় ভ্যাট ছাড় দেওয়া হয়েছে, যা প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের হজযাত্রা সহজ করতে হজ টিকিটের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সরকারের এসব উদ্যোগ জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এনবিআর বলছে, সরকার সামগ্রিকভাবে জনকল্যাণমূলক নীতির ভিত্তিতে এসব করছাড়ের ব্যবস্থা নিয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
৫১৫ বার পড়া হয়েছে

রমজানে ফলের দাম নিয়ন্ত্রণে এনবিআরের শুল্ক-কর হ্রাস

আপডেট সময় ১১:০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

রমজান মাসে সাধারণ জনগণের জন্য ফলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানিকৃত তাজা ফলের ওপর শুল্ক ও কর ১৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বৃহত্তর জনস্বার্থে তাজা ফল আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে আরোপিত ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, গত ১০ মার্চ জারি করা পৃথক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ফল আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম আয়করের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে, মোট শুল্ক-কর ১৫ শতাংশ হ্রাস পেল, যা ফলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

সরকার সাধারণ জনগণের স্বার্থে রমজান উপলক্ষে একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর ছাড় দিয়েছে। এর মধ্যে ভোজ্য তেল, চিনি, আলু, ডিম, পেঁয়াজ, চাল, খেজুর এবং কীটনাশকের আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি, ভ্যাট, অগ্রিম আয়কর ও আগাম করের ক্ষেত্রে ব্যাপক ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এনবিআর জানিয়েছে, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে এবছর রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এসব করছাড় বাজারে সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, ফলে ভোক্তারা তুলনামূলক কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবেন।

শুধু খাদ্যপণ্য নয়, সরকার সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলোর ওপরও কর ছাড়ের ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে মেট্রোরেলের ভ্যাট সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা শহরবাসীর পরিবহন ব্যয় কমাবে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ই-বুক সেবায় ভ্যাট ছাড় দেওয়া হয়েছে, যা প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের হজযাত্রা সহজ করতে হজ টিকিটের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সরকারের এসব উদ্যোগ জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এনবিআর বলছে, সরকার সামগ্রিকভাবে জনকল্যাণমূলক নীতির ভিত্তিতে এসব করছাড়ের ব্যবস্থা নিয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।