ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা বিআরটিসির দরজা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বদা খোলা: চেয়ারম্যান নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে

মাদরাসা বোর্ডে হতাশাজনক ফল, কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা ২০২৪ সালে ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষাতেও পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার হ্রাস পেয়েছে। এ বছর দাখিলে পাস করেছে ৬৮ দশমিক ০৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী, যেখানে গত বছর এ হার ছিল ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

এ বছর সারাদেশে মাদরাসা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৯ হাজার ৬৬ জন শিক্ষার্থী। অথচ ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৪ হাজার ২০৬ জন। সেই হিসেবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও কমেছে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাসের হার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এবারও ছাত্রীদের ফলাফল এগিয়ে। ছাত্রীদের মধ্যে পাসের হার ৭১ দশমিক ০৩ শতাংশ, যেখানে ছাত্রদের পাসের হার ৬৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। পাসের হারে ছাত্রীদের এই আধিপত্য চলতি বছরেও বজায় থাকল। এ নিয়ে টানা ১০ বছর এসএসসিতে ছাত্রীদের পাসের হার ছাত্রদের চেয়ে বেশি।

২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। ফলে এবছর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪৩ হাজারের বেশি।

ফলাফল বিশ্লেষণে শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, সিলেবাস পরিবর্তন, মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার কড়াকড়ি এবং কোচিং নির্ভরতা কমার মতো নানা কারণে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমে থাকতে পারে। তবে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বাস্তবভিত্তিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হলে এমন পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন অনেকে।

শিক্ষা বোর্ডগুলোর ফলাফল বিশ্লেষণ এবং পর্যালোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

মাদরাসা বোর্ডে হতাশাজনক ফল, কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

আপডেট সময় ০৩:১০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

 

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা ২০২৪ সালে ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষাতেও পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার হ্রাস পেয়েছে। এ বছর দাখিলে পাস করেছে ৬৮ দশমিক ০৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী, যেখানে গত বছর এ হার ছিল ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

এ বছর সারাদেশে মাদরাসা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৯ হাজার ৬৬ জন শিক্ষার্থী। অথচ ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৪ হাজার ২০৬ জন। সেই হিসেবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও কমেছে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাসের হার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এবারও ছাত্রীদের ফলাফল এগিয়ে। ছাত্রীদের মধ্যে পাসের হার ৭১ দশমিক ০৩ শতাংশ, যেখানে ছাত্রদের পাসের হার ৬৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। পাসের হারে ছাত্রীদের এই আধিপত্য চলতি বছরেও বজায় থাকল। এ নিয়ে টানা ১০ বছর এসএসসিতে ছাত্রীদের পাসের হার ছাত্রদের চেয়ে বেশি।

২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। ফলে এবছর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪৩ হাজারের বেশি।

ফলাফল বিশ্লেষণে শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, সিলেবাস পরিবর্তন, মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার কড়াকড়ি এবং কোচিং নির্ভরতা কমার মতো নানা কারণে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমে থাকতে পারে। তবে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বাস্তবভিত্তিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হলে এমন পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন অনেকে।

শিক্ষা বোর্ডগুলোর ফলাফল বিশ্লেষণ এবং পর্যালোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।