ঢাকা ১১:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাত দিনের মধ্যে মাগুরায় ধর্ষণের বিচার কাজ শুরু: আইন উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল রাশিয়ায়, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার সূচনা বলিভিয়ার পোটোসি অঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত, আহত ২০ জন নির্যাতিত শিশু আছিয়ার মৃত্যু, বিচার দাবি জামায়াত আমিরের আছিয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর করে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক: হাসনাত-সারজিস মাদকবিরোধী অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধের সব দায় নিলেন দুতার্তে, আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার দাবি সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ল শনি গ্রহের চারপাশে নতুন ১২৮টি চাঁদের সন্ধান, আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান আইজিপির আহ্বান: পুলিশের ওপর আক্রমণ না করে সহযোগিতা করুন

রাজশাহী বিভাগের আমের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

এবারের আমের মৌসুমে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল, ছড়াচ্ছে মিষ্টি গন্ধ। রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি জেলায় আমের বাম্পার ফলন হতে যাচ্ছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

বাণিজ্যিক দিক বিবেচনায় রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, পাবনা, রাজশাহী, এবং সিরাজগঞ্জ এর আম প্রক্রিয়াজাত করে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন ও রফতানি প্রক্রিয়া সহজ করতে পারলে, লাভের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তারা মনে করছেন।

এদিকে কৃষি বিভাগ ও ফল গবেষণায় নিয়োজিত বিশেষজ্ঞরা, বাগান মালিকদের জন্য নানা পরামর্শ প্রদান করছেন যাতে ভালো ফলন পাওয়া যায়। নওগাঁ জেলার বাগানগুলো দেশের মধ্যে আম উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থান করছে। এ বছর কুয়াশার পরিমাণ কম থাকার কারণে দুই সপ্তাহ আগেই গাছগুলোকে মুকুলে ঢেকে গেছে। সোনারাঙ্গা, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি এবং বারি জাতের আমের বাগান বাণিজ্যিকভাবে সম্প্রসারণ পেয়েছে। এখন গাছে প্রচুর পরিমাণ মুকুল দেখে, বাগান মালিকরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার বাগান মালিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু জানিয়েছেন, এই ৮টি জেলার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার বাজার মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

খরার কারণে আমের গুটি ঝরে না পড়ে, সেজন্য বাগানে নিয়মিত সেচ দেওয়ার পাশাপাশি কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুজিত কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলায় বিপুল পরিমাণ আম উৎপাদিত হবে।

এবারের আমের মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রচুর পরিমাণ আম উৎপাদন হতে পারে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৫১:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
৫১১ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী বিভাগের আমের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় ০১:৫১:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

 

এবারের আমের মৌসুমে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল, ছড়াচ্ছে মিষ্টি গন্ধ। রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি জেলায় আমের বাম্পার ফলন হতে যাচ্ছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

বাণিজ্যিক দিক বিবেচনায় রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, পাবনা, রাজশাহী, এবং সিরাজগঞ্জ এর আম প্রক্রিয়াজাত করে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন ও রফতানি প্রক্রিয়া সহজ করতে পারলে, লাভের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তারা মনে করছেন।

এদিকে কৃষি বিভাগ ও ফল গবেষণায় নিয়োজিত বিশেষজ্ঞরা, বাগান মালিকদের জন্য নানা পরামর্শ প্রদান করছেন যাতে ভালো ফলন পাওয়া যায়। নওগাঁ জেলার বাগানগুলো দেশের মধ্যে আম উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থান করছে। এ বছর কুয়াশার পরিমাণ কম থাকার কারণে দুই সপ্তাহ আগেই গাছগুলোকে মুকুলে ঢেকে গেছে। সোনারাঙ্গা, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি এবং বারি জাতের আমের বাগান বাণিজ্যিকভাবে সম্প্রসারণ পেয়েছে। এখন গাছে প্রচুর পরিমাণ মুকুল দেখে, বাগান মালিকরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার বাগান মালিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু জানিয়েছেন, এই ৮টি জেলার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার বাজার মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

খরার কারণে আমের গুটি ঝরে না পড়ে, সেজন্য বাগানে নিয়মিত সেচ দেওয়ার পাশাপাশি কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুজিত কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলায় বিপুল পরিমাণ আম উৎপাদিত হবে।

এবারের আমের মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রচুর পরিমাণ আম উৎপাদন হতে পারে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।