ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সহায়তা বন্ধ, ইউক্রেনের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ভারতের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্তি আমাদের লক্ষ্য: জয়শঙ্কর ব্রিসবেনে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আলফ্রেড’ এর আগমন: সতর্কতায় স্তব্ধ শহর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের ওপর হামলার চেষ্টা, যুক্তরাজ্যে চাঞ্চল্য যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু সম্পদের হিসাব না দেওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কুমিল্লার গোমতী চরের মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি প্রতিদিন কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সের রেকর্ড, যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তন নিয়ে মোদি সরকারের ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি: সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যানিলোভিজ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে ইউক্রেন

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ইউক্রেন যে কোনো সময় খনিজ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন বলে দাবি করেন।

আল জাজিরার বরাত দিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের এক যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প এই চিঠির কথা উল্লেখ করেন। এতে ইউক্রেন সংকট সমাধানে আলোচনার টেবিলে বসতে জেলেনস্কির আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে।

ট্রাম্প কংগ্রেসের অধিবেশনে জেলেনস্কির চিঠিটি পড়ে শোনান, যেখানে বলা হয়, ‘‘স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। ইউক্রেনীয় জনগণের চেয়ে শান্তির প্রয়োজন আর কেউ বেশি বোঝে না।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘‘আমেরিকা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় যে ভূমিকা রেখেছে, আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি খনিজ ও নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে আমরা প্রস্তুত।’’

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের বক্তব্য এবং চিঠির বিষয়বস্তু ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, জেলেনস্কির সঙ্গে তার সম্পর্কের কিছুটা উষ্ণতা ফিরে আসছে। এটি রাশিয়াও গভীর দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করছে, কারণ ইউক্রেনীয় নেতৃত্বের অংশগ্রহণ ছাড়া যুদ্ধের অবসান সম্ভব নয়।

এদিকে, রাশিয়া থেকে আসা ইঙ্গিতে বোঝা যাচ্ছে যে, তারা এখন শান্তি আলোচনার জন্য আগ্রহী। যদিও কূটনৈতিক মহল বলছে, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বিজয়ীর পক্ষ নেয়, তাই ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় যুদ্ধের ফলাফল এখনও অনিশ্চিত।

তবুও, বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে রাশিয়ার ভূখণ্ড ও সম্পদের দিক থেকে কৌশলগত সুবিধা রয়েছে। ফলে এই যুদ্ধের সমাধান শুধু আলোচনা নয়, বাস্তব শক্তির ভিত্তিতেও নির্ধারিত হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:২২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
৫১৪ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে ইউক্রেন

আপডেট সময় ১০:২২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

 

ইউক্রেন যে কোনো সময় খনিজ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন বলে দাবি করেন।

আল জাজিরার বরাত দিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের এক যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প এই চিঠির কথা উল্লেখ করেন। এতে ইউক্রেন সংকট সমাধানে আলোচনার টেবিলে বসতে জেলেনস্কির আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে।

ট্রাম্প কংগ্রেসের অধিবেশনে জেলেনস্কির চিঠিটি পড়ে শোনান, যেখানে বলা হয়, ‘‘স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। ইউক্রেনীয় জনগণের চেয়ে শান্তির প্রয়োজন আর কেউ বেশি বোঝে না।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘‘আমেরিকা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় যে ভূমিকা রেখেছে, আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি খনিজ ও নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে আমরা প্রস্তুত।’’

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের বক্তব্য এবং চিঠির বিষয়বস্তু ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, জেলেনস্কির সঙ্গে তার সম্পর্কের কিছুটা উষ্ণতা ফিরে আসছে। এটি রাশিয়াও গভীর দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করছে, কারণ ইউক্রেনীয় নেতৃত্বের অংশগ্রহণ ছাড়া যুদ্ধের অবসান সম্ভব নয়।

এদিকে, রাশিয়া থেকে আসা ইঙ্গিতে বোঝা যাচ্ছে যে, তারা এখন শান্তি আলোচনার জন্য আগ্রহী। যদিও কূটনৈতিক মহল বলছে, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বিজয়ীর পক্ষ নেয়, তাই ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় যুদ্ধের ফলাফল এখনও অনিশ্চিত।

তবুও, বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে রাশিয়ার ভূখণ্ড ও সম্পদের দিক থেকে কৌশলগত সুবিধা রয়েছে। ফলে এই যুদ্ধের সমাধান শুধু আলোচনা নয়, বাস্তব শক্তির ভিত্তিতেও নির্ধারিত হতে পারে।