০১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এগিয়ে বাংলাদেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 139

ছবি: সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ৬৯ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে এ দুটি বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির ধারা দেশের পোশাকশিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে।

ইউরোস্ট্যাট ও ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের তথ্যানুযায়ী, গত নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ইইউতে ১৫৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ডলারে, যা ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের প্রথম দিকের মন্দাভাব কাটিয়ে বছরের শেষ দিকে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। বছরজুড়ে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৬৭৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র ০.৪৬ শতাংশ কম। তবে শেষ তিন মাসে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। সেপ্টেম্বরে ১৮ শতাংশ, অক্টোবরে ২৬.৭ শতাংশ এবং নভেম্বরে ৪১.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত টানা চার মাসে বাংলাদেশ যথাক্রমে ১৬২, ১৫৩, ১৭৫ এবং ১৫৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। সব মিলিয়ে, ইইউ বাজারে ১১ মাসে প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশের নিচে থাকলেও বছরের শেষ প্রান্তিক আশা জাগিয়েছে।

পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা জানান, ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি তৈরি হয়েছিল, যা ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারগুলোতে পোশাকের চাহিদা কমিয়ে দেয়। তবে সরকারি নানা উদ্যোগ ও অর্থনীতির ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের ফলে ২০২৪ সালে পরিস্থিতি উন্নত হয় এবং ক্রয়াদেশ বাড়তে থাকে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৩.২৮ শতাংশ বেশি। রপ্তানিকারকরা উদ্ভাবনী ডিজাইন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিযোগিতামূলক দামের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে কাজ করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এগিয়ে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১০:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

 

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ৬৯ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে এ দুটি বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির ধারা দেশের পোশাকশিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে।

ইউরোস্ট্যাট ও ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের তথ্যানুযায়ী, গত নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ইইউতে ১৫৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ডলারে, যা ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের প্রথম দিকের মন্দাভাব কাটিয়ে বছরের শেষ দিকে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। বছরজুড়ে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৬৭৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র ০.৪৬ শতাংশ কম। তবে শেষ তিন মাসে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। সেপ্টেম্বরে ১৮ শতাংশ, অক্টোবরে ২৬.৭ শতাংশ এবং নভেম্বরে ৪১.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত টানা চার মাসে বাংলাদেশ যথাক্রমে ১৬২, ১৫৩, ১৭৫ এবং ১৫৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। সব মিলিয়ে, ইইউ বাজারে ১১ মাসে প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশের নিচে থাকলেও বছরের শেষ প্রান্তিক আশা জাগিয়েছে।

পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা জানান, ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি তৈরি হয়েছিল, যা ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারগুলোতে পোশাকের চাহিদা কমিয়ে দেয়। তবে সরকারি নানা উদ্যোগ ও অর্থনীতির ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের ফলে ২০২৪ সালে পরিস্থিতি উন্নত হয় এবং ক্রয়াদেশ বাড়তে থাকে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৩.২৮ শতাংশ বেশি। রপ্তানিকারকরা উদ্ভাবনী ডিজাইন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিযোগিতামূলক দামের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে কাজ করছেন।