ঢাকা ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অবসরপ্রাপ্ত বিমানসেনাদের জন্য ‘পেনশনার সল্যুশন’ ওয়েব পোর্টালের উদ্বোধন টেকনাফে কোস্টগার্ড-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার এনবিআরের কলমবিরতিতে বাড়ছে রাজস্ব ঘাটতি, অর্থনীতিতে শঙ্কার ছায়া শাহরিয়ার সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের শাহবাগ অবরোধ মহাকাশে চীনের এআই কম্পিউটার: ১২টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, মোট পাঠানো হবে এরকম ২৮০০ টি স্যাটেলাইট সারা দেশে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৬০৫ আসামি এবার চীনে আম রপ্তানির লক্ষ্য ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন দারিদ্র্যের মূল কারণ ভূমি দখল ও আইনি ত্রুটি: পরিকল্পনা উপদেষ্টা সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তিতে নতুন বিধান, ২৫ দিন বরখাস্তের নির্দেশনা ইশরাক ইস্যু বিচারাধীন, এই বিষয় নিয়ে আমাকে দোষারোপ করা সমীচীন নয়: সজীব ভূইয়া

যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এগিয়ে বাংলাদেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 41

ছবি: সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ৬৯ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে এ দুটি বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির ধারা দেশের পোশাকশিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে।

ইউরোস্ট্যাট ও ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের তথ্যানুযায়ী, গত নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ইইউতে ১৫৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ডলারে, যা ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।

যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের প্রথম দিকের মন্দাভাব কাটিয়ে বছরের শেষ দিকে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। বছরজুড়ে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৬৭৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র ০.৪৬ শতাংশ কম। তবে শেষ তিন মাসে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। সেপ্টেম্বরে ১৮ শতাংশ, অক্টোবরে ২৬.৭ শতাংশ এবং নভেম্বরে ৪১.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত টানা চার মাসে বাংলাদেশ যথাক্রমে ১৬২, ১৫৩, ১৭৫ এবং ১৫৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। সব মিলিয়ে, ইইউ বাজারে ১১ মাসে প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশের নিচে থাকলেও বছরের শেষ প্রান্তিক আশা জাগিয়েছে।

পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা জানান, ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি তৈরি হয়েছিল, যা ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারগুলোতে পোশাকের চাহিদা কমিয়ে দেয়। তবে সরকারি নানা উদ্যোগ ও অর্থনীতির ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের ফলে ২০২৪ সালে পরিস্থিতি উন্নত হয় এবং ক্রয়াদেশ বাড়তে থাকে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৩.২৮ শতাংশ বেশি। রপ্তানিকারকরা উদ্ভাবনী ডিজাইন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিযোগিতামূলক দামের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে কাজ করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এগিয়ে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১০:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

 

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ৬৯ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে এ দুটি বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির ধারা দেশের পোশাকশিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে।

ইউরোস্ট্যাট ও ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের তথ্যানুযায়ী, গত নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ইইউতে ১৫৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ডলারে, যা ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।

যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের প্রথম দিকের মন্দাভাব কাটিয়ে বছরের শেষ দিকে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। বছরজুড়ে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৬৭৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র ০.৪৬ শতাংশ কম। তবে শেষ তিন মাসে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। সেপ্টেম্বরে ১৮ শতাংশ, অক্টোবরে ২৬.৭ শতাংশ এবং নভেম্বরে ৪১.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত টানা চার মাসে বাংলাদেশ যথাক্রমে ১৬২, ১৫৩, ১৭৫ এবং ১৫৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। সব মিলিয়ে, ইইউ বাজারে ১১ মাসে প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশের নিচে থাকলেও বছরের শেষ প্রান্তিক আশা জাগিয়েছে।

পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা জানান, ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি তৈরি হয়েছিল, যা ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারগুলোতে পোশাকের চাহিদা কমিয়ে দেয়। তবে সরকারি নানা উদ্যোগ ও অর্থনীতির ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের ফলে ২০২৪ সালে পরিস্থিতি উন্নত হয় এবং ক্রয়াদেশ বাড়তে থাকে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৩.২৮ শতাংশ বেশি। রপ্তানিকারকরা উদ্ভাবনী ডিজাইন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিযোগিতামূলক দামের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে কাজ করছেন।