ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারাদেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২১ জন সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত ৫৫ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে: অন্তর্বর্তী সরকার ট্রাম্প প্রশাসন পুড়িয়ে ফেলছে ৫০০ টন জরুরি খাদ্য গোপালগঞ্জ যেন মুজিববাদীদের ঘাঁটি না হয়ে ওঠে: ঘোষণা নাহিদ ইসলামের গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও দেশব্যাপী ব্লকেড কর্মসূচির ডাক এনসিপির উত্তেজনায় রণক্ষেত্রে পরিণত গোপালগঞ্জ, ১৪৪ ধারা জারি মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে: ডিএমপি গল্প দিয়ে ইতিহাস লেখা যায় না: জাতীয় প্রেসক্লাবে ড. মঈন খানের হুঁশিয়ারি চুয়াডাঙ্গায় জমি বিরোধ নিয়ে পৃথক দুই হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ডলার ও বন্ডের সুদ বেড়েছে, বিপাকে ইয়েন ও বৈশ্বিক মুদ্রাবাজার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

আজ বুধবার মার্কিন ডলার ও সরকারি বন্ডের সুদের হার একসঙ্গে বাড়ায় বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েছে জাপানি ইয়েন। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন বলছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব বাজারে ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে।

গত জুনে কফি, সাউন্ডসিস্টেম ও আসবাবের মতো আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বেড়ে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিকে ত্বরান্বিত করেছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, এ পরিস্থিতিতে ফেডারেল রিজার্ভ হয়তো আর সুদের হার কমাবে না। ফলে ডলারের মান ও বন্ডের সুদ উভয়ই ঊর্ধ্বমুখী।

সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে ইয়েনের মানে। ডলারের বিপরীতে ইয়েনের মান নেমে গেছে চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এখন প্রতি ডলারে পাওয়া যাচ্ছে ১৪৯.০৩ ইয়েন, যা আগের দিনের ১৪৮.৯০ থেকে কম। একইসঙ্গে ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ডের মানও তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। ইউরো এখন ১.১৬০৮ ডলার ও পাউন্ড ১.৩৩৯৪ ডলারে লেনদেন হচ্ছে।

মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ে ইভলিন পার্টনার্সের কৌশলবিদ ন্যাথানিয়েল কেসি বলেন, “শুল্কের প্রভাবে বাজারে নতুন করে চাপ তৈরি হচ্ছে, যা সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যদিও এখনই তা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা কঠিন।”

তিনি আরও বলেন, খাদ্য ও জ্বালানি ব্যতীত অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতে শুল্ক বাড়ার অনিশ্চয়তার কারণে ফেডের সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা হতে পারে।

বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ডিসেম্বর নাগাদ সুদের হার কমার সম্ভাবনা কমে ৪৩ বেসিস পয়েন্টে নেমে আসবে যা সপ্তাহের শুরুতে ছিল ৫০ পয়েন্টের ওপরে। আজ ১০ বছর মেয়াদি মার্কিন বন্ডের সুদ এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪.৪৯৫ শতাংশে পৌঁছেছে। দুই বছর মেয়াদি বন্ডের সুদ ৩.৯৫ শতাংশের কিছু ওপরে রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে ডলার বেশ শক্তিশালী অবস্থানে আছে। বিশ্বের প্রধান ছয়টি মুদ্রার বিপরীতে ডলারের সূচক দাঁড়িয়েছে এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ, ৯৮.৬০-এর কাছাকাছি।

অস্ট্রেলিয়ান ডলার গতকাল কমে যায় ০.৪৫ শতাংশ। তবে আজ সকালে সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৬৫১৭ ডলারে। নিউজিল্যান্ড ডলারের মান বেড়েছে ০.১৭ শতাংশ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ডলার ও বন্ডের সুদ বেড়েছে, বিপাকে ইয়েন ও বৈশ্বিক মুদ্রাবাজার

আপডেট সময় ১২:০৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

আজ বুধবার মার্কিন ডলার ও সরকারি বন্ডের সুদের হার একসঙ্গে বাড়ায় বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েছে জাপানি ইয়েন। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন বলছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব বাজারে ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে।

গত জুনে কফি, সাউন্ডসিস্টেম ও আসবাবের মতো আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বেড়ে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিকে ত্বরান্বিত করেছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, এ পরিস্থিতিতে ফেডারেল রিজার্ভ হয়তো আর সুদের হার কমাবে না। ফলে ডলারের মান ও বন্ডের সুদ উভয়ই ঊর্ধ্বমুখী।

সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে ইয়েনের মানে। ডলারের বিপরীতে ইয়েনের মান নেমে গেছে চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এখন প্রতি ডলারে পাওয়া যাচ্ছে ১৪৯.০৩ ইয়েন, যা আগের দিনের ১৪৮.৯০ থেকে কম। একইসঙ্গে ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ডের মানও তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। ইউরো এখন ১.১৬০৮ ডলার ও পাউন্ড ১.৩৩৯৪ ডলারে লেনদেন হচ্ছে।

মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ে ইভলিন পার্টনার্সের কৌশলবিদ ন্যাথানিয়েল কেসি বলেন, “শুল্কের প্রভাবে বাজারে নতুন করে চাপ তৈরি হচ্ছে, যা সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যদিও এখনই তা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা কঠিন।”

তিনি আরও বলেন, খাদ্য ও জ্বালানি ব্যতীত অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতে শুল্ক বাড়ার অনিশ্চয়তার কারণে ফেডের সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা হতে পারে।

বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ডিসেম্বর নাগাদ সুদের হার কমার সম্ভাবনা কমে ৪৩ বেসিস পয়েন্টে নেমে আসবে যা সপ্তাহের শুরুতে ছিল ৫০ পয়েন্টের ওপরে। আজ ১০ বছর মেয়াদি মার্কিন বন্ডের সুদ এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪.৪৯৫ শতাংশে পৌঁছেছে। দুই বছর মেয়াদি বন্ডের সুদ ৩.৯৫ শতাংশের কিছু ওপরে রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে ডলার বেশ শক্তিশালী অবস্থানে আছে। বিশ্বের প্রধান ছয়টি মুদ্রার বিপরীতে ডলারের সূচক দাঁড়িয়েছে এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ, ৯৮.৬০-এর কাছাকাছি।

অস্ট্রেলিয়ান ডলার গতকাল কমে যায় ০.৪৫ শতাংশ। তবে আজ সকালে সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৬৫১৭ ডলারে। নিউজিল্যান্ড ডলারের মান বেড়েছে ০.১৭ শতাংশ।