০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

নতুন নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক, থাকছে ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুখবর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 79

ছবি সংগৃহীত

 

 

অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে (ওবিইউ) জমা রাখা বৈদেশিক মুদ্রা জামানত হিসেবে ব্যবহার করে টাকায় ঋণ দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে দেশের ব্যাংকগুলো। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

বিজ্ঞাপন

নতুন এ নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, বিদেশে নিবন্ধিত কোম্পানি এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকরা ওবিইউতে রাখা তাদের বৈদেশিক মুদ্রাকে জামানত হিসেবে ব্যবহার করে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নিতে পারবেন।

এছাড়া দেশে পরিচালিত কোম্পানি বা ব্যক্তি, যারা অনিবাসী হিসাবধারীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে জড়িত, তারাও এ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তবে ব্যাংকগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে, ঋণগ্রহীতা ও হিসাবধারীর মধ্যে যৌক্তিক সম্পর্ক রয়েছে।

এ সুবিধার আওতায় ব্যাংকগুলো কেবল স্বল্পমেয়াদি চলতি মূলধনী ঋণ দিতে পারবে। ঋণের বিপরীতে কোনো জামানত চার্জ বা ফি আরোপ করা যাবে না। প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ঝুঁকি সামলাতে জামানতের কিছু অংশ মার্জিন হিসেবে রাখা যাবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ঋণগ্রহীতা যদি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বৈদেশিক মুদ্রা নগদায়ন করে ঋণ সমন্বয়ের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

ওবিইউ ছাড়াও প্রাইভেট ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট (পিএফসিএ) এবং নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (এনআরএফসিডি) অ্যাকাউন্টে রাখা অর্থকেও জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তবে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের অর্থ এ সুবিধার আওতায় আসবে না।

বাংলাদেশে পরিচালিত বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, স্থানীয়ভাবে জামানত দেওয়া অনেক সময়ই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এ সুযোগের ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও শেয়ারহোল্ডাররা তাদের বৈদেশিক মুদ্রা সহজেই জামানত হিসেবে রেখে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নিতে পারবেন, যা বিনিয়োগের গতি বাড়াবে বলে মনে করছে তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক, থাকছে ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুখবর

আপডেট সময় ০৬:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে (ওবিইউ) জমা রাখা বৈদেশিক মুদ্রা জামানত হিসেবে ব্যবহার করে টাকায় ঋণ দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে দেশের ব্যাংকগুলো। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

বিজ্ঞাপন

নতুন এ নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, বিদেশে নিবন্ধিত কোম্পানি এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকরা ওবিইউতে রাখা তাদের বৈদেশিক মুদ্রাকে জামানত হিসেবে ব্যবহার করে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নিতে পারবেন।

এছাড়া দেশে পরিচালিত কোম্পানি বা ব্যক্তি, যারা অনিবাসী হিসাবধারীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে জড়িত, তারাও এ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তবে ব্যাংকগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে, ঋণগ্রহীতা ও হিসাবধারীর মধ্যে যৌক্তিক সম্পর্ক রয়েছে।

এ সুবিধার আওতায় ব্যাংকগুলো কেবল স্বল্পমেয়াদি চলতি মূলধনী ঋণ দিতে পারবে। ঋণের বিপরীতে কোনো জামানত চার্জ বা ফি আরোপ করা যাবে না। প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ঝুঁকি সামলাতে জামানতের কিছু অংশ মার্জিন হিসেবে রাখা যাবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ঋণগ্রহীতা যদি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বৈদেশিক মুদ্রা নগদায়ন করে ঋণ সমন্বয়ের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

ওবিইউ ছাড়াও প্রাইভেট ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট (পিএফসিএ) এবং নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (এনআরএফসিডি) অ্যাকাউন্টে রাখা অর্থকেও জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তবে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের অর্থ এ সুবিধার আওতায় আসবে না।

বাংলাদেশে পরিচালিত বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, স্থানীয়ভাবে জামানত দেওয়া অনেক সময়ই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এ সুযোগের ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও শেয়ারহোল্ডাররা তাদের বৈদেশিক মুদ্রা সহজেই জামানত হিসেবে রেখে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নিতে পারবেন, যা বিনিয়োগের গতি বাড়াবে বলে মনে করছে তারা।