বাজেটে স্বস্তির বার্তা: যেসব পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা

- আপডেট সময় ১২:২৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
- / 7
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট আজ (২ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এই বাজেটে রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কর ও শুল্ক ছাড়ের প্রস্তাব থাকছে। যার প্রভাবে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম কমে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এলএনজি ও জ্বালানি খাতে ছাড়ঃ এবারের বাজেটে এলএনজি আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্রুড অয়েলে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে শূন্য এবং অন্যান্য জ্বালানি তেলে ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকছে। এতে করে জ্বালানি খাতে খরচ কিছুটা কমবে।
ভোগ্যপণ্যে স্বস্তিঃ ধান, গম, ডাল, তেল, চিনি ও লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের আমদানিতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব এসেছে। পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক প্রতি টন ৪,৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪,০০০ টাকা করার প্রস্তাব রয়েছে, যা চিনির দাম হ্রাসে সহায়ক হবে।
চামড়া ও সয়াবিন শিল্পে সুবিধাঃ চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদানে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে নিউট্রালাইজড সয়াবিন তেল ও সয়াবিন মিলের ওপর শুল্ক ছাড়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সংবাদপত্র ও কাগজ শিল্পে ছাড়ঃ নিউজপ্রিন্টে কাস্টমস শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব এসেছে, যা সংবাদপত্র প্রকাশনায় খরচ কমাবে। ফেনোলিক রেজিন ও স্যান্ডপেপারের শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাবও এসেছে।
আইটি ও পরিবেশবান্ধব পণ্যঃ বিদেশি সফটওয়্যার (অপারেটিং সিস্টেম, ডেটাবেইস, টুলস) আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে। পাশাপাশি হাতের তৈরি মাটির ও পাতার পরিবেশবান্ধব পণ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
খেলাধুলা ও নির্মাণ খাতে ছাড়ঃ ক্রিকেট ব্যাট তৈরির কাঠে শুল্ক ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৬ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পিভিসি পাইপের উপকরণে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ এবং কপার ওয়্যারের উপকরণে ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে।
পরিবহণ ও নিবন্ধন খাতে সুবিধাঃ টায়ার, টিউব, ব্রেক সু-প্যাড, মার্বেল ও গ্রানাইট প্রক্রিয়াজাত যন্ত্রপাতিতে শুল্ক ছাড়ের প্রস্তাব এসেছে। ভূমি নিবন্ধনে কাঠার পরিবর্তে শতাংশে কর নির্ধারণ এবং অগ্রিম কর হ্রাসের প্রস্তাব থাকছে, যা নিবন্ধন খরচ কিছুটা কমাবে।
ভোক্তাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা
বাজেটে প্রস্তাবিত এসব কর ও শুল্ক ছাড়ের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, জ্বালানি, সফটওয়্যার, নির্মাণ উপকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ কমে আসবে। এতে ভোক্তারা যেমন স্বস্তি পাবেন, তেমনি উৎপাদন খাত ও স্থানীয় শিল্পেও গতি আসবে বলে সরকারের প্রত্যাশা।