০৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল যারা আগে গণভোট চায় না তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না: মুজিবুর রহমান আজ থেকে শুরু জাটকা শিকারে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা ঘরোয়া সাজে স্নিগ্ধ জয়া আহসান, নতুন লুকে মুগ্ধ ভক্তরা নতুন ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলের সঙ্গে অ্যামাজন ও গুগলের গোপন চুক্তি উন্মোচিত তাইওয়ানে প্রথমবারের মতো প্রো ইসরাইলি লবি AIPAC প্রতিনিধিদলের সফর প্রবল বর্ষণে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির রাস্তাঘাট প্লাবিত, যানবাহন ডুবে গেছে পানিতে নিরাপত্তা হুমকিতে সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ — যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান, তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতা

ধুনটে তিল চাষে কৃষকের অভাবনীয় লাভ, বাড়ছে জনপ্রিয়তা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 118

ছবি: সংগৃহীত

 

খরচ কম, রোগবালাই প্রায় নেই, পরিচর্যার ঝামেলাও অল্প এসব সুবিধার কারণে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তিল চাষ। ভোজ্যতেলের চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজারে তিলের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের আগ্রহও বেড়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় তিনগুণের বেশি লাভ হওয়ায় অনেকেই এখন ধান বাদ দিয়ে তিল আবাদে ঝুঁকছেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ধুনটে ৪৮ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের তিল চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। অথচ কয়েক বছর আগেও এই অঞ্চলে তিল চাষ প্রায় বিলুপ্তির পথে ছিল। উচ্চ ফলনশীল জাত ও কৃষি বিভাগের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় কৃষকেরা আবারও তিল চাষে ফিরেছেন।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় কৃষকদের মতে, এক বিঘা জমিতে তিল চাষে খরচ হয় আনুমানিক ৩ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে উৎপাদন হয় ৪ মণ তিল, যার বাজারদর বর্তমানে প্রতি মণ ৪ হাজার টাকা। ফলে খরচ বাদে একজন কৃষক সহজেই প্রায় ১৩ হাজার টাকা আয় করতে পারছেন। তুলনামূলকভাবে ধান বা অন্যান্য ফসলের চেয়ে এই আয় অনেক বেশি লাভজনক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. নুর নাহার বলেন, “তিল গাছের পাতা জমিতে পড়ে পচে সবুজ সারে পরিণত হয়, যা মাটির উর্বরতা বাড়ায়। টানা কয়েক বছর তিল চাষ করলে রাসায়নিক সার ছাড়াই অন্যান্য ফসলের চাষ সম্ভব। তাছাড়া, গাছের ডাঁটা জ্বালানির বিকল্প এবং তিল থেকে উৎপাদিত তেল ও খৈলও নানা কাজে ব্যবহৃত হয়।”

তিনি আরও জানান, তিল চাষে যেমন কৃষকের লাভ হচ্ছে, তেমনি জমির জৈব গুণও বাড়ছে। স্থানীয়ভাবে তিলের তেল ও খৈলের চাহিদাও বাড়ছে, যা বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি করছে।

কৃষকেরা মনে করছেন, যদি সরকার প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থায় সহযোগিতা করে, তবে তিল চাষ হবে তাদের আয়ের একটি কার্যকর ও স্থায়ী উৎস।

নিউজটি শেয়ার করুন

ধুনটে তিল চাষে কৃষকের অভাবনীয় লাভ, বাড়ছে জনপ্রিয়তা

আপডেট সময় ০৪:৩৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

খরচ কম, রোগবালাই প্রায় নেই, পরিচর্যার ঝামেলাও অল্প এসব সুবিধার কারণে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তিল চাষ। ভোজ্যতেলের চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজারে তিলের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের আগ্রহও বেড়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় তিনগুণের বেশি লাভ হওয়ায় অনেকেই এখন ধান বাদ দিয়ে তিল আবাদে ঝুঁকছেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ধুনটে ৪৮ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের তিল চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। অথচ কয়েক বছর আগেও এই অঞ্চলে তিল চাষ প্রায় বিলুপ্তির পথে ছিল। উচ্চ ফলনশীল জাত ও কৃষি বিভাগের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় কৃষকেরা আবারও তিল চাষে ফিরেছেন।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় কৃষকদের মতে, এক বিঘা জমিতে তিল চাষে খরচ হয় আনুমানিক ৩ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে উৎপাদন হয় ৪ মণ তিল, যার বাজারদর বর্তমানে প্রতি মণ ৪ হাজার টাকা। ফলে খরচ বাদে একজন কৃষক সহজেই প্রায় ১৩ হাজার টাকা আয় করতে পারছেন। তুলনামূলকভাবে ধান বা অন্যান্য ফসলের চেয়ে এই আয় অনেক বেশি লাভজনক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. নুর নাহার বলেন, “তিল গাছের পাতা জমিতে পড়ে পচে সবুজ সারে পরিণত হয়, যা মাটির উর্বরতা বাড়ায়। টানা কয়েক বছর তিল চাষ করলে রাসায়নিক সার ছাড়াই অন্যান্য ফসলের চাষ সম্ভব। তাছাড়া, গাছের ডাঁটা জ্বালানির বিকল্প এবং তিল থেকে উৎপাদিত তেল ও খৈলও নানা কাজে ব্যবহৃত হয়।”

তিনি আরও জানান, তিল চাষে যেমন কৃষকের লাভ হচ্ছে, তেমনি জমির জৈব গুণও বাড়ছে। স্থানীয়ভাবে তিলের তেল ও খৈলের চাহিদাও বাড়ছে, যা বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি করছে।

কৃষকেরা মনে করছেন, যদি সরকার প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থায় সহযোগিতা করে, তবে তিল চাষ হবে তাদের আয়ের একটি কার্যকর ও স্থায়ী উৎস।