০৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল যারা আগে গণভোট চায় না তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না: মুজিবুর রহমান আজ থেকে শুরু জাটকা শিকারে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা ঘরোয়া সাজে স্নিগ্ধ জয়া আহসান, নতুন লুকে মুগ্ধ ভক্তরা নতুন ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলের সঙ্গে অ্যামাজন ও গুগলের গোপন চুক্তি উন্মোচিত তাইওয়ানে প্রথমবারের মতো প্রো ইসরাইলি লবি AIPAC প্রতিনিধিদলের সফর প্রবল বর্ষণে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির রাস্তাঘাট প্লাবিত, যানবাহন ডুবে গেছে পানিতে নিরাপত্তা হুমকিতে সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ — যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান, তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা দ্বিগুণ করল সরকার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২০:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

সরকার দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতা বাড়িয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে এসব শিক্ষকরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পাবেন, যা এতদিন ছিল ২৫ শতাংশ। সোমবার (২৬ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

উপসচিব (প্রবিধি অনুবিভাগ) মোসা. শরীফুন্নেসা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা সরকারি অংশের এক মাসের মূল বেতনের ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া, উৎসব ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ভবিষ্যতে ভাতার অর্থ ব্যয়ে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষকে এর দায়ভার নিতে হবে। নতুন এই ভাতা আদেশ জারির তারিখ থেকেই কার্যকর হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার হার পূর্বের মতোই ৫০ শতাংশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

বর্তমানে দেশে মোট এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪টি। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪৩৭টি প্রতিষ্ঠান স্কুল ও কলেজ, বাকিগুলো মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন, যারা এই সিদ্ধান্তের আওতায় উপকৃত হবেন।

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহল সরকারের এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, এই ভাতা বৃদ্ধি শিক্ষকদের জন্য এক ধরনের প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে এবং তাদের আর্থিক স্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়াবে। পাশাপাশি এটি শিক্ষক সমাজের প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা দ্বিগুণ করল সরকার

আপডেট সময় ১১:২০:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

 

সরকার দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতা বাড়িয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে এসব শিক্ষকরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পাবেন, যা এতদিন ছিল ২৫ শতাংশ। সোমবার (২৬ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

উপসচিব (প্রবিধি অনুবিভাগ) মোসা. শরীফুন্নেসা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা সরকারি অংশের এক মাসের মূল বেতনের ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া, উৎসব ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ভবিষ্যতে ভাতার অর্থ ব্যয়ে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষকে এর দায়ভার নিতে হবে। নতুন এই ভাতা আদেশ জারির তারিখ থেকেই কার্যকর হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য উৎসব ভাতার হার পূর্বের মতোই ৫০ শতাংশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

বর্তমানে দেশে মোট এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪টি। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪৩৭টি প্রতিষ্ঠান স্কুল ও কলেজ, বাকিগুলো মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন, যারা এই সিদ্ধান্তের আওতায় উপকৃত হবেন।

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহল সরকারের এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, এই ভাতা বৃদ্ধি শিক্ষকদের জন্য এক ধরনের প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে এবং তাদের আর্থিক স্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়াবে। পাশাপাশি এটি শিক্ষক সমাজের প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।