ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আরো ১৪ রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের ওপর হামলা, এসআই গুরুতর আহত নোয়াখালীতে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় নিশ্চিত করতেই চার্জশীট দিতে দেরী হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারত নদীর পাড়ে,জঙ্গলে মানুষ ফেলে যাচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ লোহাগড়ায় সাপের কামড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু সকল পাবলিক পরীক্ষার খাতা দেখা থেকে ৮ শিক্ষককে আজীবনের জন্য অব্যাহতি ইরানে সুন্নি হামলায় নিহত ৫ গোপালগঞ্জে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের

পুঁজিবাজার থেকে উধাও ১৫ হাজার কোটি টাকা: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বিস্ফোরক দাবি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 20

ছবি সংগৃহীত

 

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন, ২০১০-১১ সালে দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শেয়ারবাজার থেকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন, যার মধ্যে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) রাজধানীতে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় পুঁজিবাজার: দর্শন ও অনুশীলন’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, “শাস্তি না হলে অন্যায় ও দুর্নীতি কখনোই থামে না। আমরা ১৯৯৬ সালে দেখেছি, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় শেয়ারবাজারে বড় অনিয়ম হয়েছিল। হাজারো মানুষ পথে বসে গিয়েছিল। বিপুল পরিমাণ অর্থ বাজার থেকে তুলে নেওয়া হলেও কারো বিচার হয়নি। সেটাই ছিল পাপের সূচনা।”

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কোনো প্রকৃত কোম্পানি তালিকাভুক্ত না করে কৌশলে শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু কারসাজিকারীদের শাস্তি না হওয়াই পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাই শুধু টোটকা চিকিৎসা দিয়ে বাজারের উন্নতি সম্ভব নয়।”

ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, “পুঁজিবাজার একটি দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের প্রতিষ্ঠান। এটিকে ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ ধরণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা যায় না। বাজারকে স্থিতিশীল করতে হলে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে, আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। আর যদি তাও কাজ না করে, তাহলে বুঝতে হবে, সমস্যাটি গভীরতর।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেন বিএসইসি কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. তাজনুভা জাবিন ও আইসিএমএবি’র সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।

সেমিনারে বক্তারা পুঁজিবাজারে সুশাসন ও জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত একটি শক্তিশালী বাজার গঠনের আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

পুঁজিবাজার থেকে উধাও ১৫ হাজার কোটি টাকা: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বিস্ফোরক দাবি

আপডেট সময় ০৮:২৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন, ২০১০-১১ সালে দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শেয়ারবাজার থেকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন, যার মধ্যে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) রাজধানীতে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় পুঁজিবাজার: দর্শন ও অনুশীলন’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, “শাস্তি না হলে অন্যায় ও দুর্নীতি কখনোই থামে না। আমরা ১৯৯৬ সালে দেখেছি, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় শেয়ারবাজারে বড় অনিয়ম হয়েছিল। হাজারো মানুষ পথে বসে গিয়েছিল। বিপুল পরিমাণ অর্থ বাজার থেকে তুলে নেওয়া হলেও কারো বিচার হয়নি। সেটাই ছিল পাপের সূচনা।”

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কোনো প্রকৃত কোম্পানি তালিকাভুক্ত না করে কৌশলে শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু কারসাজিকারীদের শাস্তি না হওয়াই পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাই শুধু টোটকা চিকিৎসা দিয়ে বাজারের উন্নতি সম্ভব নয়।”

ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, “পুঁজিবাজার একটি দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের প্রতিষ্ঠান। এটিকে ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ ধরণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা যায় না। বাজারকে স্থিতিশীল করতে হলে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে, আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। আর যদি তাও কাজ না করে, তাহলে বুঝতে হবে, সমস্যাটি গভীরতর।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেন বিএসইসি কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. তাজনুভা জাবিন ও আইসিএমএবি’র সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।

সেমিনারে বক্তারা পুঁজিবাজারে সুশাসন ও জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত একটি শক্তিশালী বাজার গঠনের আহ্বান জানান।