০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

রসুনের ভালো ফলনেও লোকসানের শঙ্কায় খানসামার কৃষকরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 114

ছবি সংগৃহীত

 

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় রসুনের ভালো ফলন হলেও কাঙ্ক্ষিত লাভের মুখ দেখার আশায় ভরসা পাচ্ছেন না কৃষকরা। তাদের অভিযোগ, উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারদর এতটাই কম যে লোকসানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, প্রতি কেজি রসুন ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হলেও সার, বীজ, কীটনাশকসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। ফলে লাভ তো দূরের কথা, নিজেদের মূলধন ফেরত পেতেও বিপাকে পড়ছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ আগ্রা এলাকার চাষিরা বলেন, রসুন মাঠ থেকে সংগ্রহের পরপরই ন্যূনতম দামে বিক্রি করতে হয়, অথচ পরে বাজারদর বাড়ে। এতে মূলত মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হয়, কৃষকের ভাগ্যে জোটে হতাশা। কৃষকদের দাবি, রসুনের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে এবং রপ্তানির সুযোগ তৈরি করতে হবে।

এই পরিস্থিতি উত্তরণে কৃষকরা উৎপাদিত রসুন বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, অভ্যন্তরীণ বাজারের নির্ভরশীলতা কমিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রসুন বিক্রি করা গেলে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যে রসুনের বাজারদর বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন, যেন তারা রসুন মজুত করে বাজারের চাহিদা ও দামের পরিস্থিতি বুঝে বিক্রি করেন। এছাড়া মজুতকৃত রসুন বীজ হিসেবেও ব্যবহার করা সম্ভব, যা ভবিষ্যতের জন্য লাভজনক হতে পারে বলে জানান তিনি।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর দিনাজপুর জেলায় ৩ হাজার ৮৭৬ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে। এ থেকে প্রায় ৪১ হাজার ৮৫ মেট্রিক টন রসুন উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

চাষিরা এখন অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন বাজার কবে তাদের কষ্টের মূল্য দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রসুনের ভালো ফলনেও লোকসানের শঙ্কায় খানসামার কৃষকরা

আপডেট সময় ১২:৫৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

 

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় রসুনের ভালো ফলন হলেও কাঙ্ক্ষিত লাভের মুখ দেখার আশায় ভরসা পাচ্ছেন না কৃষকরা। তাদের অভিযোগ, উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারদর এতটাই কম যে লোকসানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, প্রতি কেজি রসুন ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হলেও সার, বীজ, কীটনাশকসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। ফলে লাভ তো দূরের কথা, নিজেদের মূলধন ফেরত পেতেও বিপাকে পড়ছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ আগ্রা এলাকার চাষিরা বলেন, রসুন মাঠ থেকে সংগ্রহের পরপরই ন্যূনতম দামে বিক্রি করতে হয়, অথচ পরে বাজারদর বাড়ে। এতে মূলত মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হয়, কৃষকের ভাগ্যে জোটে হতাশা। কৃষকদের দাবি, রসুনের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে এবং রপ্তানির সুযোগ তৈরি করতে হবে।

এই পরিস্থিতি উত্তরণে কৃষকরা উৎপাদিত রসুন বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, অভ্যন্তরীণ বাজারের নির্ভরশীলতা কমিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রসুন বিক্রি করা গেলে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যে রসুনের বাজারদর বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন, যেন তারা রসুন মজুত করে বাজারের চাহিদা ও দামের পরিস্থিতি বুঝে বিক্রি করেন। এছাড়া মজুতকৃত রসুন বীজ হিসেবেও ব্যবহার করা সম্ভব, যা ভবিষ্যতের জন্য লাভজনক হতে পারে বলে জানান তিনি।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর দিনাজপুর জেলায় ৩ হাজার ৮৭৬ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে। এ থেকে প্রায় ৪১ হাজার ৮৫ মেট্রিক টন রসুন উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

চাষিরা এখন অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন বাজার কবে তাদের কষ্টের মূল্য দেবে।