এনগ্রো বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লবে: ড. ইউনূসের ভিশন

- আপডেট সময় ১১:১২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
- / 24
বাংলাদেশের কৃষি খাতে এনগ্রো’র কার্যক্রম এবং ড. ইউনূসের ভিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের কৃষি উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। এই প্রতিবেদনটি এনগ্রো’র উদ্যোগ, তাদের পরিকল্পনা এবং ড. ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে গঠিত।
এনগ্রো একটি পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠান, যা কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং শিল্পে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশে তাদের প্রবেশ কৃষি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত গবেষণা এবং নতুন পদ্ধতির প্রয়োগের মাধ্যমে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কৃষির উন্নয়নে কাজ করবে সরকার। কৃষক যেন তাদের উৎপাদিত পণ্যের দ্যাম দাম পান তা নিশ্চিতে কাজ করবে সরকার। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী যে আন্দোলন হয়েছে তার অংশীদার আমিও। আমি চাই সমাজ থেকে বৈষম্য দূর হোক। এ আন্দোলনে আপনারাও অংশ নিন।
এনগ্রো বাংলাদেশে উন্নত বীজ, সারের প্রযুক্তি এবং কৃষি ব্যবস্থাপনায় নতুন উদ্ভাবন আনতে কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য হলো কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো। এনগ্রো সামাজিক দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করে, যেখানে তারা কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং সামাজিক ব্যবসার প্রবক্তা, কৃষির উন্নয়নকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। সামাজিক ব্যবসা: ড. ইউনূস বিশ্বাস করেন যে কৃষিতে সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করা সম্ভব। এনগ্রো’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলো যখন কৃষকদের উন্নয়নে বিনিয়োগ করে, তখন তা দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন আনতে পারে।
প্রযুক্তির ব্যবহার: ইউনূস প্রযুক্তির ব্যবহারকে কৃষির উন্নয়নে অপরিহার্য মনে করেন। এনগ্রো’র উদ্ভাবনী প্রযুক্তি কৃষকদের উৎপাদন বাড়াতে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। ড. ইউনূসের মতে, এনগ্রো’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা কৃষি খাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে। এটি শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, বরং সামাজিক পরিবর্তনেও ভূমিকা রাখবে।
এনগ্রো এবং ড. ইউনূসের ভিশন বাংলাদেশে কৃষি বিপ্লবের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করছে। তাদের উদ্যোগ এবং পরিকল্পনা কৃষকদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। এভাবে, কৃষি খাতের উন্নয়ন দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।