ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাপানের সহায়তা ও বিনিয়োগে জোর দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আহ্বান সংস্কার সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি, দ্রুত নির্বাচনের আশা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে দেশে খাদ্য মজুদ বেড়েছে: প্রেস উইং সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৪৪৩ যুক্তরাজ্যে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সন্ত্রাসী ঘোষণা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিচার ব্যবস্থাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে: জামায়াতে নায়েবে আমির তিন দফা দাবিতে উত্তাল রুয়েট নওগাঁর পোরশা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত নতুন নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক, থাকছে ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুখবর সুনামগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

বান্দরবানে সেনা অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির কমান্ডারসহ ২ সন্ত্রাসী নিহত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

 

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)-এর কমান্ডারসহ দুই সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রুমার দুর্গম পাহাড়ে পরিচালিত এ অভিযানে কেএনএ এর দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন সংগঠনটির কমান্ডার বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও তাদের বিস্তারিত পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অভিযানে সেনাবাহিনী তিনটি সাবমেশিনগান (এসএমজি), একটি রাইফেল, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। বর্তমানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত থেকে রুমা উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। স্থানীয়দের ভাষ্য, জঙ্গলের মধ্যে দুটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়, যা পরে সেনাবাহিনী উদ্ধার করে।

প্রসঙ্গত, কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি সম্প্রতি পার্বত্য এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করে।

সেনাবাহিনীর সূত্র বলছে, পাহাড়ি অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ ধরনের অভিযান আরও চলবে। একইসঙ্গে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা রুখতে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কথাও পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, অভিযান শেষে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হবে এবং নিহতদের পরিচয় শনাক্তের কার্যক্রমও চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা সেনাবাহিনীর এ ধরনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতায় তারা আতঙ্কে ছিলেন। সেনাবাহিনীর এ অভিযান তাদের মধ্যে স্বস্তি ফেরাবে বলে মনে করছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বান্দরবানে সেনা অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির কমান্ডারসহ ২ সন্ত্রাসী নিহত

আপডেট সময় ১০:৪০:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)-এর কমান্ডারসহ দুই সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রুমার দুর্গম পাহাড়ে পরিচালিত এ অভিযানে কেএনএ এর দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন সংগঠনটির কমান্ডার বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও তাদের বিস্তারিত পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অভিযানে সেনাবাহিনী তিনটি সাবমেশিনগান (এসএমজি), একটি রাইফেল, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। বর্তমানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত থেকে রুমা উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। স্থানীয়দের ভাষ্য, জঙ্গলের মধ্যে দুটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়, যা পরে সেনাবাহিনী উদ্ধার করে।

প্রসঙ্গত, কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি সম্প্রতি পার্বত্য এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করে।

সেনাবাহিনীর সূত্র বলছে, পাহাড়ি অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ ধরনের অভিযান আরও চলবে। একইসঙ্গে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা রুখতে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কথাও পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, অভিযান শেষে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হবে এবং নিহতদের পরিচয় শনাক্তের কার্যক্রমও চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা সেনাবাহিনীর এ ধরনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতায় তারা আতঙ্কে ছিলেন। সেনাবাহিনীর এ অভিযান তাদের মধ্যে স্বস্তি ফেরাবে বলে মনে করছেন তারা।