ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাংলাদেশের পর ভারতে বিপাকে পড়লেন নৃত্যশিল্পী নোয়েল নাটোরের বনপাড়ায় সেনা অভিযানে ৩০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার। যুবদল কর্মী হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন বাতিল কানাডার ফিলিস্তিন সিদ্ধান্তের জবাবে ট্রাম্পের বাণিজ্যিক প্রতিশোধ ট্রাম্প বললেন ‘ভারত চাইলে অর্থনীতি ডুবাক’- তেল আমদানিতে ধাক্কা বাংলাদেশের শুল্ক আলোচনায় কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন ড্যানিলোভিচ সেনবাগ থানা পুলিশের অভিযানে নকল স্বর্ণ প্রতারক চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন আর্টস ক্লাবের নেতৃত্বে সুমন ও ফুয়াদ রংপুরে হিন্দুদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ৫ জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের ঘোষণা শুনবেন: আসিফ নজরুল
ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি :

ধানমন্ডি থানা পুলিশের অভিযানে ১২ ডাকাত গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 43

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ভয়ঙ্কর ডাকাতির ঘটনায় ধানমন্ডি থানা পুলিশের অভিযানে ১২ সদস্যের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল গ্রেফতার হয়েছে। অভিযানে লুণ্ঠিত মালামালসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।

গত ৩ জানুয়ারি গভীর রাতে মিরপুর রোডের হোটেল আড্ডার সামনে একটি ট্রাককে গতিরোধ করে ৭-৮ জনের একটি দল। নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রাক চালক ও সহকারীকে। পরে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে হাত-পা বেঁধে কেরানীগঞ্জে ফেলে রেখে ট্রাকসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এরই ধারাবাহিকতায়, ২২ জানুয়ারি একই কৌশলে মোহাম্মদপুর থেকে ৭৫ ড্রাম সয়াবিন তেলবাহী একটি ট্রাক লুট করে ডাকাত দল।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। মোঃ মঞ্জু (৪০), ২। সাইফুল ইসলাম (৪০), ৩। মোঃ রাসেল (২৮), ৪। মোঃ জাহিদ (২৪), ৫। মোঃ জাকির প্রকাশ তৌহিদ (৪০), ৬। মোঃ ইসমাইল হোসেন (৩৩), ৭। মোঃ হিরা শেখ (৩৫), ৮। মো: রফিক (৩৫), ৯। মোঃ বাধন (৩০), ১০। চাঁন মিয়া (৫৪), ১১। বেল্লাল চাকলাদার (৪৫) ও ১২। মোঃ আসলাম খাঁন (৪৫)।

ধানমন্ডি থানার বিশেষ অভিযানে প্রথম দফায় রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে মোঃ মঞ্জু, সাইফুল ইসলাম, রাসেল ও জাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ, মহাখালী, শনির আখড়া ও মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আরও আটজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ডাকাত চক্রের মূলহোতা মোঃ জাকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাদের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সাদা নোহা গাড়ি, লুট হওয়া ১০টি তেলের ড্রাম (বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা) এবং একটি লুণ্ঠিত ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে।

তারা সাধারণত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ওঁত পেতে থাকে, বাটন ফোন ব্যবহার করে যোগাযোগ করে, এবং ডাকাতির পরপরই সিমসহ ফোন ফেলে দিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি :

ধানমন্ডি থানা পুলিশের অভিযানে ১২ ডাকাত গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার

আপডেট সময় ১০:২১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

রাজধানীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ভয়ঙ্কর ডাকাতির ঘটনায় ধানমন্ডি থানা পুলিশের অভিযানে ১২ সদস্যের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল গ্রেফতার হয়েছে। অভিযানে লুণ্ঠিত মালামালসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।

গত ৩ জানুয়ারি গভীর রাতে মিরপুর রোডের হোটেল আড্ডার সামনে একটি ট্রাককে গতিরোধ করে ৭-৮ জনের একটি দল। নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রাক চালক ও সহকারীকে। পরে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে হাত-পা বেঁধে কেরানীগঞ্জে ফেলে রেখে ট্রাকসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এরই ধারাবাহিকতায়, ২২ জানুয়ারি একই কৌশলে মোহাম্মদপুর থেকে ৭৫ ড্রাম সয়াবিন তেলবাহী একটি ট্রাক লুট করে ডাকাত দল।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। মোঃ মঞ্জু (৪০), ২। সাইফুল ইসলাম (৪০), ৩। মোঃ রাসেল (২৮), ৪। মোঃ জাহিদ (২৪), ৫। মোঃ জাকির প্রকাশ তৌহিদ (৪০), ৬। মোঃ ইসমাইল হোসেন (৩৩), ৭। মোঃ হিরা শেখ (৩৫), ৮। মো: রফিক (৩৫), ৯। মোঃ বাধন (৩০), ১০। চাঁন মিয়া (৫৪), ১১। বেল্লাল চাকলাদার (৪৫) ও ১২। মোঃ আসলাম খাঁন (৪৫)।

ধানমন্ডি থানার বিশেষ অভিযানে প্রথম দফায় রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে মোঃ মঞ্জু, সাইফুল ইসলাম, রাসেল ও জাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ, মহাখালী, শনির আখড়া ও মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আরও আটজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ডাকাত চক্রের মূলহোতা মোঃ জাকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাদের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সাদা নোহা গাড়ি, লুট হওয়া ১০টি তেলের ড্রাম (বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা) এবং একটি লুণ্ঠিত ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে।

তারা সাধারণত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ওঁত পেতে থাকে, বাটন ফোন ব্যবহার করে যোগাযোগ করে, এবং ডাকাতির পরপরই সিমসহ ফোন ফেলে দিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায়।