ঢাকা ০২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব, জয়ের খোঁজে দুই দলই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে স্টপেজ থেকেই যাত্রীদের ছবি তুলতে হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সচিবালয়ের সংকট সমাধানে উপদেষ্টা পর্যায়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা পুশ-ইন ইস্যুতে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ১২০০ বস্তা চাল “গুজব”: প্রতিক্রিয়া জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং ভেসেল থেকে পড়ে ২ নাবিকের মর্মান্তিক মৃত্যু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ২০০ একর জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হত্যাসহ ৫ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর

সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় আজ (২ জুন)

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৩:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

 

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের দায়মুক্তির আবেদন (আপিল) শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী সোমবার, ২ জুন দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে শুনানি পরিচালনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হুমায়ুন কবির মঞ্জু এবং শামীমা দিপ্তি। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহাজাহান।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। গুলি চালান বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী। ঘটনার পাঁচ দিন পর, ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর মামলাটি তদন্ত করে র‍্যাব। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে সংস্থাটি। চার্জশিটে এ হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত’ বলে উল্লেখ করা হয়।

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন উপ-পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্স (তথ্যদাতা) রয়েছেন। এছাড়া মামলার সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরাও আপিল করেন।

সব পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে এখন রায়ের অপেক্ষা। দেশবাসীর দৃষ্টি এখন হাইকোর্টের ২ জুন ঘোষিতব্য ঐতিহাসিক রায়ের দিকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় আজ (২ জুন)

আপডেট সময় ১০:৪৩:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

 

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের দায়মুক্তির আবেদন (আপিল) শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী সোমবার, ২ জুন দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে শুনানি পরিচালনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হুমায়ুন কবির মঞ্জু এবং শামীমা দিপ্তি। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহাজাহান।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। গুলি চালান বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী। ঘটনার পাঁচ দিন পর, ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর মামলাটি তদন্ত করে র‍্যাব। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে সংস্থাটি। চার্জশিটে এ হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত’ বলে উল্লেখ করা হয়।

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন উপ-পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্স (তথ্যদাতা) রয়েছেন। এছাড়া মামলার সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরাও আপিল করেন।

সব পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে এখন রায়ের অপেক্ষা। দেশবাসীর দৃষ্টি এখন হাইকোর্টের ২ জুন ঘোষিতব্য ঐতিহাসিক রায়ের দিকে।