ঢাকা ০২:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

পাপনের ৮০০ কোটি টাকার লেনদেন ও অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 47

ছবি সংগৃহীত

 

সাবেক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ও সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন এবং তার স্ত্রীকে ঘিরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়াও দুদকের অনুসন্ধানে পাপন দম্পতির নামে ৩৩ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ মিলেছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে কমিশনের অনুমোদন পাওয়ায় পাপন দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামান। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন সময়েই পাপনের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠে। দুদকে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়, বিসিবির শত শত কোটি টাকা অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে দুদক গত ২৮ এপ্রিল বিসিবিকে একটি চিঠি পাঠায়, যেখানে পূর্বাচল স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প, বিপিএলের খরচ, আইসিসির আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ব্যয়, বিদেশি কোচ নিয়োগ ইত্যাদি মিলিয়ে ২৭টি ভিন্ন ভিন্ন খাতের নথিপত্র চাওয়া হয়।

দুদক সূত্র বলছে, নাজমুল হাসান পাপন আওয়ামী লীগের টিকিটে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এমপি থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে তার এবং স্ত্রীর বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ এবং সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের তথ্য।

এছাড়া বিসিবিতে অর্থ আত্মসাতের আরও একটি পৃথক অনুসন্ধানও চালাচ্ছে দুদক, যা এখনও চলমান রয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দফতরে একাধিক চিঠি পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে এতবড় আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ্যে আসায় ক্রীড়াঙ্গনসহ রাজনৈতিক অঙ্গনেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুদক বলছে, তদন্তে আরও নতুন তথ্য পাওয়া গেলে সেটিও মামলার আওতায় আনা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পাপনের ৮০০ কোটি টাকার লেনদেন ও অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক

আপডেট সময় ০২:২৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

 

সাবেক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ও সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন এবং তার স্ত্রীকে ঘিরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়াও দুদকের অনুসন্ধানে পাপন দম্পতির নামে ৩৩ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ মিলেছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে কমিশনের অনুমোদন পাওয়ায় পাপন দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামান। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন সময়েই পাপনের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠে। দুদকে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়, বিসিবির শত শত কোটি টাকা অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে দুদক গত ২৮ এপ্রিল বিসিবিকে একটি চিঠি পাঠায়, যেখানে পূর্বাচল স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প, বিপিএলের খরচ, আইসিসির আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ব্যয়, বিদেশি কোচ নিয়োগ ইত্যাদি মিলিয়ে ২৭টি ভিন্ন ভিন্ন খাতের নথিপত্র চাওয়া হয়।

দুদক সূত্র বলছে, নাজমুল হাসান পাপন আওয়ামী লীগের টিকিটে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এমপি থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে তার এবং স্ত্রীর বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ এবং সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের তথ্য।

এছাড়া বিসিবিতে অর্থ আত্মসাতের আরও একটি পৃথক অনুসন্ধানও চালাচ্ছে দুদক, যা এখনও চলমান রয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দফতরে একাধিক চিঠি পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে এতবড় আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ্যে আসায় ক্রীড়াঙ্গনসহ রাজনৈতিক অঙ্গনেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুদক বলছে, তদন্তে আরও নতুন তথ্য পাওয়া গেলে সেটিও মামলার আওতায় আনা হবে।