ঢাকা ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

আপিল বিভাগে দুই নতুন বিচারপতির শপথ: বিচার বিভাগের ইতিহাসে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 40

ছবি সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যুক্ত হলেন দুই অভিজ্ঞ বিচারপতি বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথ পাঠ করান।

শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা। এই নিয়োগের ফলে আপিল বিভাগে বিচারক সংখ্যা বাড়ল এবং বিচার কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যুক্ত হওয়ার আশা করছেন আইনজীবী মহল।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের আলোকে সোমবার আইন ও বিচার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই দুই বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নিয়োগ কার্যকর হয়েছে মঙ্গলবার থেকে।

দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠার সাক্ষ্য বহন করা এই দুই বিচারপতির পেশাগত জীবন ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনকারী বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ১৯৮৩ সালে জেলা আদালতে এবং ১৯৮৫ সালে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবেও স্বীকৃতি পান তিনি। বিচারক হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট, হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে। পরে ২০০৫ সালে তিনি স্থায়ী বিচারপতির মর্যাদা পান। বর্তমানে তিনি জুডিসিয়াল অ্যাপয়েনমেন্ট কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রিধারী বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ১৯৯২ সালে জেলা আদালতে, ১৯৯৪ সালে হাইকোর্টে এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০০৬ সালে স্থায়ী বিচারপতির পদে আসীন হন।

এই দুই বিচারপতির নিয়োগ বিচার বিভাগকে আরও কার্যকর, গতিশীল এবং গণমুখী করে তুলবে এমন প্রত্যাশা জানিয়েছেন বিচার সংশ্লিষ্টরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপিল বিভাগে দুই নতুন বিচারপতির শপথ: বিচার বিভাগের ইতিহাসে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়

আপডেট সময় ০১:৪১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যুক্ত হলেন দুই অভিজ্ঞ বিচারপতি বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথ পাঠ করান।

শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা। এই নিয়োগের ফলে আপিল বিভাগে বিচারক সংখ্যা বাড়ল এবং বিচার কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যুক্ত হওয়ার আশা করছেন আইনজীবী মহল।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের আলোকে সোমবার আইন ও বিচার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই দুই বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নিয়োগ কার্যকর হয়েছে মঙ্গলবার থেকে।

দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠার সাক্ষ্য বহন করা এই দুই বিচারপতির পেশাগত জীবন ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনকারী বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ১৯৮৩ সালে জেলা আদালতে এবং ১৯৮৫ সালে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবেও স্বীকৃতি পান তিনি। বিচারক হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট, হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে। পরে ২০০৫ সালে তিনি স্থায়ী বিচারপতির মর্যাদা পান। বর্তমানে তিনি জুডিসিয়াল অ্যাপয়েনমেন্ট কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রিধারী বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ১৯৯২ সালে জেলা আদালতে, ১৯৯৪ সালে হাইকোর্টে এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০০৬ সালে স্থায়ী বিচারপতির পদে আসীন হন।

এই দুই বিচারপতির নিয়োগ বিচার বিভাগকে আরও কার্যকর, গতিশীল এবং গণমুখী করে তুলবে এমন প্রত্যাশা জানিয়েছেন বিচার সংশ্লিষ্টরা।