ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার তিন দিনের রিমান্ড, গ্রেপ্তার দেখানো হলো আরও এক নেত্রীকে সরকারি তিন দপ্তরে শীর্ষ পদে রদবদল শক্তিশালী ষড়যন্ত্রের ছায়ায় বেলুচিস্তানে ট্রেন ছিনতাই, রাষ্ট্রীয় শক্তির জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা দুই বিভাগে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি দুইবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে’, অবস্থা আরো অবনতির পথে রংপুরে একযুগ পর শিবির নেতা আশিকুর রহমান হত্যার বিচার চেয়ে আ. লীগের দুই সাবেক এমপির নামে মামলা বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক প্রকাশ সিগারেটের ব্যবহার কমানোর জন্য ট্যাক্স বাড়ানো যথেষ্ট নয়: শফিকুল আলম শাহবাগীদের কারণে ‘গডমাদার অফ ফ্যাসিজম’ হলেন হাসিনা: শিবির সভাপতি ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষ, আহত ১৪

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার তিন দিনের রিমান্ড, গ্রেপ্তার দেখানো হলো আরও এক নেত্রীকে

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীর কলাবাগান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের শাহবাগ থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামালকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। একই আইনের আওতায় ধানমন্ডি থানার আরেক মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিশীতা ইকবাল নদীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক তারেক মো. মাসুম আসামি মোস্তফা কামালের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৩ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন পান্থপথ এলাকায় আল বারাকা রেস্টুরেন্টের সামনে প্রায় ১০০-১৫০ জন ব্যক্তি একত্রিত হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানারে মিছিল বের করেন। তারা সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো এবং সংগঠনটির কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে উসকানিমূলক স্লোগান দেন। এছাড়াও, মিছিল ও স্লোগান ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়, যা সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে, একই আইনের আরেক মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিশীতা ইকবাল নদীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে আদালত এখনও তার রিমান্ড শুনানির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

মামলাগুলোর তদন্ত চলছে এবং সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্তের চেষ্টা করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের কার্যকলাপ প্রতিহত করতে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

এই ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছে, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৩৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
৫০০ বার পড়া হয়েছে

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার তিন দিনের রিমান্ড, গ্রেপ্তার দেখানো হলো আরও এক নেত্রীকে

আপডেট সময় ০৭:৩৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

 

রাজধানীর কলাবাগান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের শাহবাগ থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামালকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। একই আইনের আওতায় ধানমন্ডি থানার আরেক মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিশীতা ইকবাল নদীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক তারেক মো. মাসুম আসামি মোস্তফা কামালের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৩ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন পান্থপথ এলাকায় আল বারাকা রেস্টুরেন্টের সামনে প্রায় ১০০-১৫০ জন ব্যক্তি একত্রিত হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানারে মিছিল বের করেন। তারা সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো এবং সংগঠনটির কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে উসকানিমূলক স্লোগান দেন। এছাড়াও, মিছিল ও স্লোগান ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়, যা সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে, একই আইনের আরেক মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিশীতা ইকবাল নদীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে আদালত এখনও তার রিমান্ড শুনানির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

মামলাগুলোর তদন্ত চলছে এবং সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্তের চেষ্টা করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের কার্যকলাপ প্রতিহত করতে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

এই ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছে, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।