ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা বিআরটিসির দরজা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বদা খোলা: চেয়ারম্যান নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের ১ নম্বর বেঞ্চে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচার শুরু হলো।

এই মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

তিন আসামির মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনই একমাত্র ব্যক্তি যিনি এ মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অপর দুই আসামি পলাতক। তাদের কেউই ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ দেননি। আদালত নিযুক্ত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরাই আসামিদের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করছেন।

প্রসিকিউশন জানায়, চলতি বছরের ১ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত জুলাইয়ে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন শেখ হাসিনা। একই অভিযোগে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধেও মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

প্রসিকিউশন পাঁচটি আলাদা অভিযোগে তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সংশ্লিষ্টতা তুলে ধরে। অভিযোগগুলোতে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর পরিকল্পিত হামলা এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানবতা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করে আদালত জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতেও বিচার কার্যক্রম চলবে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো গুরুতর মামলায় সাবেক শীর্ষস্থানীয় তিন রাজনীতিবিদের বিচার শুরু হওয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এটিকে একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর বলেন, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না সেটা তিনি যত বড় রাজনীতিবিদই হোন না কেন।”

এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু

আপডেট সময় ০৩:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের ১ নম্বর বেঞ্চে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচার শুরু হলো।

এই মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

তিন আসামির মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনই একমাত্র ব্যক্তি যিনি এ মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অপর দুই আসামি পলাতক। তাদের কেউই ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ দেননি। আদালত নিযুক্ত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরাই আসামিদের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করছেন।

প্রসিকিউশন জানায়, চলতি বছরের ১ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত জুলাইয়ে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন শেখ হাসিনা। একই অভিযোগে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধেও মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

প্রসিকিউশন পাঁচটি আলাদা অভিযোগে তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সংশ্লিষ্টতা তুলে ধরে। অভিযোগগুলোতে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর পরিকল্পিত হামলা এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানবতা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করে আদালত জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতেও বিচার কার্যক্রম চলবে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো গুরুতর মামলায় সাবেক শীর্ষস্থানীয় তিন রাজনীতিবিদের বিচার শুরু হওয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এটিকে একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর বলেন, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না সেটা তিনি যত বড় রাজনীতিবিদই হোন না কেন।”

এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।