ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের জবাব হবে কঠোর ও চূড়ান্ত: খামেনি ১১ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা: এনবিআর সাবেক র‍্যাব কর্মকর্তা সোহায়েল গুম মামলায় গ্রেপ্তার, কারাগারে প্রেরণ ঈদযাত্রায় সড়কে প্রতিদিন গড় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের: রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের জাতীয় সংবিধানিক কাউন্সিল গঠনে একমত নাগরিক পার্টি, কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য: নাহিদ ইসলাম এসএসএফকে কাজ করতে হবে সব দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস-তারেক বৈঠকে আপত্তি একটি দলের, মন্তব্য মির্জা ফখরুলের শাহবাগ-পল্টন থানার দুই মামলায় আনিসুল হকসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর কুয়ালালামপুরে ফের গুলির ঘটনা, শপিংমলের সামনে ২ জনকে হত্যা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় বিশ্ববাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণ-রুপার দাম

শাহবাগ-পল্টন থানার দুই মামলায় আনিসুল হকসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. মিজবাহ উর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতে হাজির করার পর, শাহবাগ থানার একটি হত্যা মামলায় আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে, পল্টন থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় মোশাররফ হোসেন ও বাবুল সরদার চাখারীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন উপ-পরিদর্শক বিমান তরফদার। শুনানি শেষে আদালত আনিসুল হকের পাঁচদিন ও অপর দুইজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শাহবাগ থানার হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে অংশ নেন ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির। আন্দোলনের একপর্যায়ে আসামিদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। নিহতের স্ত্রী ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে, পল্টন থানার হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশ নেয় বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই সমাবেশে অংশ নেন ভুক্তভোগী বদরুল ইসলাম সায়মন। অভিযোগে বলা হয়, সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ আসামিরা হামলা চালিয়ে গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হন সায়মন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ২৯ এপ্রিল সায়মন নিজেই বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৪৫ জনকে আসামি করা হয়।

উল্লেখযোগ্যভাবে, দুটি মামলাই বর্তমানে উচ্চ গুরুত্বের সাথে তদন্তাধীন, এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহবাগ-পল্টন থানার দুই মামলায় আনিসুল হকসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট সময় ০৫:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. মিজবাহ উর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতে হাজির করার পর, শাহবাগ থানার একটি হত্যা মামলায় আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে, পল্টন থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় মোশাররফ হোসেন ও বাবুল সরদার চাখারীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন উপ-পরিদর্শক বিমান তরফদার। শুনানি শেষে আদালত আনিসুল হকের পাঁচদিন ও অপর দুইজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শাহবাগ থানার হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে অংশ নেন ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির। আন্দোলনের একপর্যায়ে আসামিদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। নিহতের স্ত্রী ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে, পল্টন থানার হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশ নেয় বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই সমাবেশে অংশ নেন ভুক্তভোগী বদরুল ইসলাম সায়মন। অভিযোগে বলা হয়, সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ আসামিরা হামলা চালিয়ে গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হন সায়মন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ২৯ এপ্রিল সায়মন নিজেই বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৪৫ জনকে আসামি করা হয়।

উল্লেখযোগ্যভাবে, দুটি মামলাই বর্তমানে উচ্চ গুরুত্বের সাথে তদন্তাধীন, এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।