ঢাকা ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শহরের বায়ুদূষণ রোধে ডিএনসিসির ২৫ পয়েন্টে বসবে আধুনিক যন্ত্র: ডিএনসিসি প্রশাসক আ. লীগ আমলের লাইসেন্সপ্রাপ্ত গণমাধ্যমগুলোর তদন্ত হবে: তথ্য উপদেষ্টা খাদ্য নিরাপত্তা নয়, দরকার খাদ্যে সার্বভৌমত্ব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ‘আপনারা অনেকে আজ ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন’: হুঁশিয়ারি শিবির সভাপতির রোহিঙ্গা ও বিদেশিদের এনআইডি ডেটাবেজে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নেই: নির্বাচন কমিশন বিএসএফের গুলিতে কসবা সীমান্তে বাংলাদেশি যুবক নিহত, আহত ভারতীয় নাগরিক উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের এক দফা কর্মসূচি, হুঁশিয়ারি শাটডাউনের বেইলী রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, উদ্ধার তৎপরতায় ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট দেশের ৬৭ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক আজ

আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ – ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্ট ১৩১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে।

গত ১৬ মার্চ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে এই রায় দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে দেওয়া এই রায়ে আদালত বলেন, আবরার ফাহাদকে পরিকল্পিতভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, যার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। তিনি তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পরদিনই আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ঢাকার চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।

ওই রায়ে বিচারক বলেন, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের সহায়তায় শিবির সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলে এবং তাকে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। এটি ছিল এক জঘন্য হত্যাকাণ্ড।”

আদালতের রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে রায় উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল হিসেবে পাঠানো হয়, যা গত ১৬ মার্চ চূড়ান্তভাবে রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট।

আবরার হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ন্যায়বিচারের দাবিতে উত্তাল হয় তরুণ সমাজ। এই রায়ের মাধ্যমে আদালত আবারও প্রমাণ করলো যে, ন্যায়বিচার অবশেষে প্রতিষ্ঠিত হয়, যদিও সময় লাগে।

হাইকোর্টের প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায় এখন দেশের বিচারপ্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ – ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০১:৫২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্ট ১৩১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে।

গত ১৬ মার্চ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে এই রায় দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে দেওয়া এই রায়ে আদালত বলেন, আবরার ফাহাদকে পরিকল্পিতভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, যার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। তিনি তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পরদিনই আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ঢাকার চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।

ওই রায়ে বিচারক বলেন, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের সহায়তায় শিবির সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলে এবং তাকে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। এটি ছিল এক জঘন্য হত্যাকাণ্ড।”

আদালতের রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে রায় উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল হিসেবে পাঠানো হয়, যা গত ১৬ মার্চ চূড়ান্তভাবে রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট।

আবরার হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ন্যায়বিচারের দাবিতে উত্তাল হয় তরুণ সমাজ। এই রায়ের মাধ্যমে আদালত আবারও প্রমাণ করলো যে, ন্যায়বিচার অবশেষে প্রতিষ্ঠিত হয়, যদিও সময় লাগে।

হাইকোর্টের প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায় এখন দেশের বিচারপ্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।