০৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা শিশু সাজিদের মৃত্যু: ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মানুষকে ভয় দেখাতেই এসব হামলা: রিজওয়ানা
স্বাস্থ্য সচেতনতা

দেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, উদ্বেগ বাড়িয়েছে ডেঙ্গু-সহ সংক্রমণ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৩:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / 106

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত হয়েছে। আজ সোমবার (৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) এই তথ্য প্রকাশ করেছে। তাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা শহরের পাঁচজন ব্যক্তি জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এই পাঁচজনের মধ্যে সকলেই এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বাস করতেন এবং গত দুই বছরে দেশের বাইরে ভ্রমণ করেননি। তারা প্রায় একই সময়ে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন, যা থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে তারা সম্ভবত একই সংক্রমণ শৃঙ্খলের অংশ।

বিজ্ঞাপন

আরও আতঙ্কজনক তথ্য হল, এই পাঁচজনের মধ্যে একজনের দেহে একই সঙ্গে ডেঙ্গু ভাইরাসও শনাক্ত হয়েছে যা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ও ডেঙ্গু ভাইরাসের সহ-সংক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি আরও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, কারণ এই ধরনের সহ-সংক্রমণ গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

আইসিডিডিআর,বি আরও জানায়, ২০২৩ সালে সংগৃহীত নমুনা পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা জানান, বাংলাদেশে শনাক্ত জিকা ভাইরাসের স্ট্রেইনটি এশিয়ান লাইনেজের অন্তর্গত এবং এটি ২০১৯ সালে কম্বোডিয়া ও চীনে দেখা গিয়েছিল। গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, এই ভাইরাসের সংক্রমণ মাইক্রোসেফালি ও অন্যান্য স্নায়বিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

বাংলাদেশের গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু, উষ্ণ তাপমাত্রা এবং দীর্ঘ বর্ষাকাল এডিস মশার প্রজননের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে। ফলে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মশাবাহিত রোগ যেমন ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়েছে এবং এবার জিকা ভাইরাসেরও উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে।

জিকা ভাইরাস প্রথম ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় বানরের শরীরে ধরা পড়েছিল এবং ১৯৫২ সালে মানবদেহে শনাক্ত হয়। এটি এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়, ডেঙ্গুর মতো লক্ষণ দেখা দিলেও অনেক ক্ষেত্রেই ধরা পড়ে না। এছাড়া, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এটি যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়াতে পারে এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মারাত্মক পরিণতি ঘটাতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য সচেতনতা

দেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, উদ্বেগ বাড়িয়েছে ডেঙ্গু-সহ সংক্রমণ

আপডেট সময় ০৫:২৩:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত হয়েছে। আজ সোমবার (৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) এই তথ্য প্রকাশ করেছে। তাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা শহরের পাঁচজন ব্যক্তি জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এই পাঁচজনের মধ্যে সকলেই এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বাস করতেন এবং গত দুই বছরে দেশের বাইরে ভ্রমণ করেননি। তারা প্রায় একই সময়ে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন, যা থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে তারা সম্ভবত একই সংক্রমণ শৃঙ্খলের অংশ।

বিজ্ঞাপন

আরও আতঙ্কজনক তথ্য হল, এই পাঁচজনের মধ্যে একজনের দেহে একই সঙ্গে ডেঙ্গু ভাইরাসও শনাক্ত হয়েছে যা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ও ডেঙ্গু ভাইরাসের সহ-সংক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি আরও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, কারণ এই ধরনের সহ-সংক্রমণ গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

আইসিডিডিআর,বি আরও জানায়, ২০২৩ সালে সংগৃহীত নমুনা পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা জানান, বাংলাদেশে শনাক্ত জিকা ভাইরাসের স্ট্রেইনটি এশিয়ান লাইনেজের অন্তর্গত এবং এটি ২০১৯ সালে কম্বোডিয়া ও চীনে দেখা গিয়েছিল। গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, এই ভাইরাসের সংক্রমণ মাইক্রোসেফালি ও অন্যান্য স্নায়বিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

বাংলাদেশের গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু, উষ্ণ তাপমাত্রা এবং দীর্ঘ বর্ষাকাল এডিস মশার প্রজননের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে। ফলে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মশাবাহিত রোগ যেমন ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়েছে এবং এবার জিকা ভাইরাসেরও উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে।

জিকা ভাইরাস প্রথম ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় বানরের শরীরে ধরা পড়েছিল এবং ১৯৫২ সালে মানবদেহে শনাক্ত হয়। এটি এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়, ডেঙ্গুর মতো লক্ষণ দেখা দিলেও অনেক ক্ষেত্রেই ধরা পড়ে না। এছাড়া, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এটি যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়াতে পারে এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মারাত্মক পরিণতি ঘটাতে পারে।