নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও বন্যাসদৃশ্য, চরম ভোগান্তিতে জনজীবন

- আপডেট সময় ১২:০২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
- / 4
নোয়াখালীতে টানা ভারি বর্ষণে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা ও বন্যাসদৃশ্য পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অফিস। এতে করে একদিনেই নদ-নদীর পানি বেড়েছে ১৭ সেন্টিমিটার। যদিও এখনো পানি বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
টানা বৃষ্টির কারণে সদর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সুবর্ণচর উপজেলায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার বহু বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই চার উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান ও চলমান পরীক্ষাগুলো সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
জলাবদ্ধতার সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে জেলা শহর মাইজদীতে। পৌর এলাকার স্টেডিয়াম পাড়া, জেলখানা সড়ক, ফকিরপুর, হরিনারায়ণপুর, লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হাউজিং এলাকার রাস্তাঘাট হাঁটুপানি ডুবে গেছে। অনেক নিচু এলাকার ঘরবাড়ির ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। কাঁচা ঘরগুলোতে বসবাস করা মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন।
চলাচলের জন্য মানুষজন নৌকা, উঁচু গামলা কিংবা কাঠের তক্তার ওপর ভর করে চলাফেরা করছেন। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীদের যাতায়াত হয়ে উঠেছে অত্যন্ত কষ্টকর। দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকে ক্ষতির মুখে পড়েছেন অনেক ব্যবসায়ী।
জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় পাম্প মেশিন স্থাপন, ড্রেন পরিষ্কার ও পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়।
তবে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এতে করে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাসিন্দাদের সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।