ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অডিট রিপোর্টে মানের ঘাটতি, বিনিয়োগে আস্থার বাধা: অর্থ উপদেষ্টা টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৯, নিখোঁজ দেড় শতাধিক শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের দলীয়ভাবে গণহত্যার বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা নাটোরের লালপুরে ইমো হ্যাকিং চক্র ও কিশোর গ্যাংয়ের ১২ সদস্য গ্রেপ্তার ইতিহাসের সবচেয়ে পরিবেশবিনাশী টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: গবেষণা চীন সফরে যাচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর শেখ হাসিনার ফোনালাপের আন্তর্জাতিক যাচাই, মামলার স্বচ্ছতা বাড়াবে: প্রসিকিউটর রাজশাহীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ব্যবসায়ীকে হাতুড়িপেটা করে হত্যা, গ্রেফতার ৭

ফেনীতে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন, খুলেছে ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

টানা ভারি বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় মোট ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার সরবরাহে সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলায় ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সেই সঙ্গে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় একটি ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দুটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে—০১৮১৮-৪৪৪৫০০ এবং ০১৩৩৬-৫৮৬৬৯৩।

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ৪০০ করে মোট ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি রান্না করা খাবার সরবরাহেও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এদিকে টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা পানির প্রবাহে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ১০টি স্থানে ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। ফলে ফুলগাজী ও পরশুরামের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকের বসতঘর ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবক দলসমূহ মাঠে কাজ করছে। সতর্কতার অংশ হিসেবে আশপাশের এলাকাগুলোর মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেনীতে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন, খুলেছে ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র

আপডেট সময় ১০:৪৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 

টানা ভারি বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় মোট ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার সরবরাহে সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলায় ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সেই সঙ্গে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় একটি ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দুটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে—০১৮১৮-৪৪৪৫০০ এবং ০১৩৩৬-৫৮৬৬৯৩।

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ৪০০ করে মোট ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি রান্না করা খাবার সরবরাহেও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এদিকে টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা পানির প্রবাহে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ১০টি স্থানে ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। ফলে ফুলগাজী ও পরশুরামের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকের বসতঘর ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবক দলসমূহ মাঠে কাজ করছে। সতর্কতার অংশ হিসেবে আশপাশের এলাকাগুলোর মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।