ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ: একদিনে ৩২ জন আক্রান্ত ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু গাজায় অনাহারে ৩৫ দিনের শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১১৬ ২০ বছর কোমায় থাকার পর সৌদির ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ মারা গেলেন কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত ইরানে ধ/র্ষ/ণে/র দায়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও অবদানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে আগামী দিনের লক্ষ্য: জামায়াত আমির মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন, ঘেটো বানাবেন না: তথ্য উপদেষ্টা

বন্দরে জোড়া খুন: সাবেক কাউন্সিলরসহ চারজন গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • / 12

ছবি সংগৃহীত

 

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে ঘটে যাওয়া জোড়া খুনের ঘটনায় সাবেক কাউন্সিলরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল বুধবার গাজীপুর সদর উপজেলার গাজীপুরা ও আশপাশের কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মো. হান্নান সরকার, তার দুই ছেলে জুনায়েদ ও ফারদিন, এবং বাবু শিকদার।

তারেক আল মেহেদী বলেন, “বন্দরে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, গত ২১ জুন রাত ৯টার দিকে বন্দরের ফরাজিকান্দি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং ইজিবাইক স্ট্যান্ডে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুইজন নিহত হন।

সংঘর্ষের পরপরই এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের ভিত্তিতে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে একের পর এক অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা চালানো হয়। এর পেছনে এলাকায় দীর্ঘদিনের শত্রুতা ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের দ্বন্দ্ব ছিল মূল কারণ।

জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই হত্যা মামলার তদন্তে আরও অগ্রগতি এবং বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার খুব শিগগিরই করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বন্দরে জোড়া খুন: সাবেক কাউন্সিলরসহ চারজন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৫:৫১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

 

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে ঘটে যাওয়া জোড়া খুনের ঘটনায় সাবেক কাউন্সিলরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল বুধবার গাজীপুর সদর উপজেলার গাজীপুরা ও আশপাশের কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মো. হান্নান সরকার, তার দুই ছেলে জুনায়েদ ও ফারদিন, এবং বাবু শিকদার।

তারেক আল মেহেদী বলেন, “বন্দরে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, গত ২১ জুন রাত ৯টার দিকে বন্দরের ফরাজিকান্দি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং ইজিবাইক স্ট্যান্ডে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুইজন নিহত হন।

সংঘর্ষের পরপরই এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের ভিত্তিতে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে একের পর এক অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা চালানো হয়। এর পেছনে এলাকায় দীর্ঘদিনের শত্রুতা ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের দ্বন্দ্ব ছিল মূল কারণ।

জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই হত্যা মামলার তদন্তে আরও অগ্রগতি এবং বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার খুব শিগগিরই করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।