০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

আলোচনার আশ্বাসে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট প্রত্যাহার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৭:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 108

ছবি সংগৃহীত

 

তেল বিক্রির কমিশন ৭ শতাংশে উন্নীতকরণসহ ১০ দফা দাবিতে সারা দেশে শুরু হওয়া পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিকদের ধর্মঘট অবশেষে আলোচনার আশ্বাসে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রোববার (২৫ মে) দুপুরে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রতন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

ধর্মঘটটি শুরু হয়েছিল একইদিন সকাল ৬টা থেকে। এতে রাজধানীসহ সারা দেশে তেল সরবরাহে স্থবিরতা দেখা দেয়। ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পেট্রোল পাম্পে বিক্রি বন্ধ থাকায় যানবাহনচালক ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ও মালিকপক্ষ বৈঠকে বসে। বৈঠকে মালিকদের দাবির বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান দেওয়ার আশ্বাস দেয় বিপিসি।

পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিপিসি ১৫ দিনের মধ্যে কিছু দাবি বাস্তবায়ন এবং দুই মাসের মধ্যে বাকি দাবিগুলোর সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দাবি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হলে আবারও আন্দোলনে ফেরার হুঁশিয়ারি দেন মালিক নেতারা।

পেট্রোল পাম্প মালিকদের ১০ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—

* তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশে উন্নীত করা

* সওজ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল পূর্বের অবস্থায় বহাল রাখা

* সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নে পে-অর্ডারকে নবায়ন হিসেবে গণ্য করা

* আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংকের ক্যালিব্রেশন বাধ্যতামূলক না করা

* ডিপ রড পরীক্ষণ ফি বাতিল

* বিভিন্ন দপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ প্রথা বাতিল

* বিপণন কোম্পানি ছাড়া তেল বিক্রি নিষিদ্ধ করা

* ট্যাংকলরি চালকদের লাইসেন্স নবায়নের জটিলতা দূর করা

* আন্তঃজেলা রুট পারমিট সহজীকরণ এবং

* অননুমোদিতভাবে খোলা স্থানে জ্বালানি বিক্রি বন্ধ করা।

সরকারি আশ্বাসে আপাতত ধর্মঘট স্থগিত থাকলেও মালিকপক্ষ দাবি আদায়ে বাস্তব অগ্রগতি চায়। তা না হলে আবারো কঠোর কর্মসূচিতে ফেরার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আলোচনার আশ্বাসে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট প্রত্যাহার

আপডেট সময় ০৪:২৭:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 

তেল বিক্রির কমিশন ৭ শতাংশে উন্নীতকরণসহ ১০ দফা দাবিতে সারা দেশে শুরু হওয়া পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিকদের ধর্মঘট অবশেষে আলোচনার আশ্বাসে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রোববার (২৫ মে) দুপুরে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রতন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

ধর্মঘটটি শুরু হয়েছিল একইদিন সকাল ৬টা থেকে। এতে রাজধানীসহ সারা দেশে তেল সরবরাহে স্থবিরতা দেখা দেয়। ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পেট্রোল পাম্পে বিক্রি বন্ধ থাকায় যানবাহনচালক ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ও মালিকপক্ষ বৈঠকে বসে। বৈঠকে মালিকদের দাবির বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান দেওয়ার আশ্বাস দেয় বিপিসি।

পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিপিসি ১৫ দিনের মধ্যে কিছু দাবি বাস্তবায়ন এবং দুই মাসের মধ্যে বাকি দাবিগুলোর সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দাবি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হলে আবারও আন্দোলনে ফেরার হুঁশিয়ারি দেন মালিক নেতারা।

পেট্রোল পাম্প মালিকদের ১০ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—

* তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশে উন্নীত করা

* সওজ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল পূর্বের অবস্থায় বহাল রাখা

* সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নে পে-অর্ডারকে নবায়ন হিসেবে গণ্য করা

* আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংকের ক্যালিব্রেশন বাধ্যতামূলক না করা

* ডিপ রড পরীক্ষণ ফি বাতিল

* বিভিন্ন দপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ প্রথা বাতিল

* বিপণন কোম্পানি ছাড়া তেল বিক্রি নিষিদ্ধ করা

* ট্যাংকলরি চালকদের লাইসেন্স নবায়নের জটিলতা দূর করা

* আন্তঃজেলা রুট পারমিট সহজীকরণ এবং

* অননুমোদিতভাবে খোলা স্থানে জ্বালানি বিক্রি বন্ধ করা।

সরকারি আশ্বাসে আপাতত ধর্মঘট স্থগিত থাকলেও মালিকপক্ষ দাবি আদায়ে বাস্তব অগ্রগতি চায়। তা না হলে আবারো কঠোর কর্মসূচিতে ফেরার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।