ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের, ভারতের প্রতিক্রিয়া কী? আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে ভারতের উদ্বেগ নোয়াখালীতে যুবলীগ কর্মীকে হত্যা, মরদেহ ফেলার সময় আটক ২ ঢাকার মূল সড়কে রিকশা নিষিদ্ধ: ডিএনসিসি প্রশাসক ভোজ্যতেল বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে রাইস ব্রান তেল কিনবে সরকার কমেছে উড়োজাহাজ জ্বালানির দাম দেশীয় গরুর জাত রক্ষায় জরুরি রোডম্যাপের তাগিদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার স্বাস্থ্যসেবায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মানবিক করিডোর নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বললেন হাফিজ উদ্দিন বিয়ের খরচ চিন্তা করে এখনো সিঙ্গেল সালমান খান!

সীমান্তে পুশইনের আশঙ্কা: সুনামগঞ্জে বিজিবির কড়া নজরদারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 10

ছবি সংগৃহীত

 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ‘পুশইন’ বা জোরপূর্বক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে সুনামগঞ্জের ভারত সীমান্তজুড়ে টহল জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি জানিয়েছে, কোনো ধরনের অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা দেখা দিলে স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে তা প্রতিরোধ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলার প্রায় ১২০ কিলোমিটার সীমান্ত ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত। এর মধ্যে মধ্যনগর উপজেলার সাত কিলোমিটার সীমান্তের দায়িত্বে রয়েছে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার ২৩ কিলোমিটার সীমান্তে দায়িত্বে রয়েছে সিলেট ব্যাটালিয়ন, এবং বাকি ৯০ কিলোমিটার দেখভাল করছে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি)। এই ৯০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৮৯ কিলোমিটার স্থল ও এক কিলোমিটার জলসীমা।

সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলগুলো অধিকাংশ জায়গায় দুর্গম, পাহাড়ি এবং কিছু জায়গায় কাঁটাতারের সুরক্ষা না থাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে পুশইনের সম্ভাবনার কারণে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন জনবল বৃদ্ধি, নিয়মিত টহল এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের আওতাধীন এলাকায় কোনো অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে বিজিবি।

সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির, পিএসসি বলেন, “সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি সদা প্রস্তুত। আমরা সিভিল প্রশাসন ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রেখে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছি। এমনকি মিডিয়া কর্মীরাও আমাদের গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন, যা প্রশংসনীয়।”

তিনি আরও জানান, বিজিবির সক্রিয় প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপের ফলে সুনামগঞ্জ সীমান্তে বর্তমানে শান্তিপূর্ণ ও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ বজায় রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে বিজিবি’র তৎপরতা এলাকাবাসীর মাঝে আস্থা ফিরিয়ে এনেছে। তবে সতর্ক দৃষ্টিতে নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সীমান্তে পুশইনের আশঙ্কা: সুনামগঞ্জে বিজিবির কড়া নজরদারি

আপডেট সময় ১২:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ‘পুশইন’ বা জোরপূর্বক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে সুনামগঞ্জের ভারত সীমান্তজুড়ে টহল জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি জানিয়েছে, কোনো ধরনের অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা দেখা দিলে স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে তা প্রতিরোধ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলার প্রায় ১২০ কিলোমিটার সীমান্ত ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত। এর মধ্যে মধ্যনগর উপজেলার সাত কিলোমিটার সীমান্তের দায়িত্বে রয়েছে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার ২৩ কিলোমিটার সীমান্তে দায়িত্বে রয়েছে সিলেট ব্যাটালিয়ন, এবং বাকি ৯০ কিলোমিটার দেখভাল করছে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি)। এই ৯০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৮৯ কিলোমিটার স্থল ও এক কিলোমিটার জলসীমা।

সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলগুলো অধিকাংশ জায়গায় দুর্গম, পাহাড়ি এবং কিছু জায়গায় কাঁটাতারের সুরক্ষা না থাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে পুশইনের সম্ভাবনার কারণে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন জনবল বৃদ্ধি, নিয়মিত টহল এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের আওতাধীন এলাকায় কোনো অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে বিজিবি।

সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির, পিএসসি বলেন, “সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি সদা প্রস্তুত। আমরা সিভিল প্রশাসন ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রেখে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছি। এমনকি মিডিয়া কর্মীরাও আমাদের গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন, যা প্রশংসনীয়।”

তিনি আরও জানান, বিজিবির সক্রিয় প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপের ফলে সুনামগঞ্জ সীমান্তে বর্তমানে শান্তিপূর্ণ ও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ বজায় রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে বিজিবি’র তৎপরতা এলাকাবাসীর মাঝে আস্থা ফিরিয়ে এনেছে। তবে সতর্ক দৃষ্টিতে নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।