ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাকিস্তান সীমান্তে ধরা পড়লো তুরস্কের শীর্ষ আইএস নেতা, ভেস্তে গেল বড় হামলার ছক শিশুর পুষ্টি ও দুগ্ধশিল্পের অগ্রগতিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটি বিধ্বস্ত, দাবি ৪০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের গা/জা/য় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের হামলা, নিহত অন্তত ৫০ শীর্ষে রেমিট্যান্সের ধারা: মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ২৯৭ কোটি ডলার বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করতে অপপ্রচারে লিপ্ত কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম: সেনাবাহিনী রাজস্ব খাতে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’দের সরিয়ে দিল পুলিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া আর উৎসবের রঙ নিয়ে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হলো ড্রাগন বোট ফেস্টিভাল দুধ শুধু পণ্য নয়, আমাদের সংস্কৃতির অংশ: ফরিদা আখতার সিলেট-মৌলভীবাজারে বন্যার প্রকোপ, বাড়ছে নদ-নদীর পানি
কোরবানির ঈদ

দেশি পশুতেই কোরবানির চাহিদা পূরণ, অর্থনীতিতে এক লাখ কোটি টাকার সম্ভাবনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি: সংগৃহীত

 

২০১৪ সালে ভারত সরকার বাংলাদেশে গরু রপ্তানি বন্ধ করার পর দেশীয় খামারিরা দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফলে চলতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের আট লাখ ৮৭ হাজার ৫৪৪টি খামারে প্রস্তুত রয়েছে এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু। এর মধ্যে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকেই আসবে মোট চাহিদার ৭০ শতাংশ।

প্রস্তুত পশুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে রাজশাহীতে প্রায় ৪৩ লাখ। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার এবং খুলনা বিভাগে ১৪ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি পশু। শুধুমাত্র রাজশাহী বিভাগ থেকেই আসবে দেশের মোট কোরবানির পশুর প্রায় ৩৫ শতাংশ।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এবারের কোরবানির পশুর বাজার মূল্য প্রায় ৬৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার পশু। পাশাপাশি কোরবানির সময় সংগ্রহ হওয়া চামড়াও হবে এক কোটি পর্যন্ত, যা মোট চাহিদার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পূরণ করবে। সব মিলিয়ে এবারের কোরবানির অর্থনীতি ছাড়িয়ে যেতে পারে এক লাখ কোটি টাকা।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের খামারি সাজ্জাদ হোসেন সেতু কোরবানির জন্য নিজ খামারে কয়েক মাস ধরে ১২টি গরু লালন-পালন করেছেন। এর মধ্যে ছয়টি গরু ইতিমধ্যে রোজার ঈদে বিক্রি করেছেন। বাকি ছয়টি গরু এবার কোরবানির হাটে তুলবেন। একইসঙ্গে তিনি একজন এআই (কৃত্রিম প্রজনন) কর্মী, যিনি প্রতি মাসে ১৫০ থেকে ২০০টি প্রজনন করে থাকেন। তাঁর মাধ্যমে স্থানীয় অনেক তরুণ ও নারী খামারিরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

বর্তমানে স্থানীয় বাজারে আনুমানিক আড়াই মণ ওজনের গরু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯৫ হাজার টাকায়। পাঁচ মণ ওজনের গরুর দাম দুই লাখ টাকার কাছাকাছি। খামারিরা বলছেন, পশুখাদ্যের দাম কমানো ও সহজ শর্তে ঋণ দিলে দেশীয় খামারিরাই পুরো চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবেন।

প্রজনন খাতে গত অর্থবছরে প্রায় ৫৫ লাখ কৃত্রিম প্রজনন সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে গাভি ও বকনাতে হয়েছে প্রায় ৩৮ লাখ। বাছুর উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৭ লাখ। দেশের বাজারে এখন শাহিওয়াল জাতের গরুর চাহিদা বেশি।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. বয়জার রহমান বলেন, “গরু মোটাতাজাকরণ, কৃত্রিম প্রজনন, উন্নত জাত সম্প্রসারণ ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার খামারিদের স্বনির্ভরতা বাড়িয়েছে। মাংসের বাড়তি চাহিদা পূরণে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে হবে। তবে আমরা দেশীয় জাত সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নিউজটি শেয়ার করুন

কোরবানির ঈদ

দেশি পশুতেই কোরবানির চাহিদা পূরণ, অর্থনীতিতে এক লাখ কোটি টাকার সম্ভাবনা

আপডেট সময় ০১:০৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

২০১৪ সালে ভারত সরকার বাংলাদেশে গরু রপ্তানি বন্ধ করার পর দেশীয় খামারিরা দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফলে চলতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের আট লাখ ৮৭ হাজার ৫৪৪টি খামারে প্রস্তুত রয়েছে এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু। এর মধ্যে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকেই আসবে মোট চাহিদার ৭০ শতাংশ।

প্রস্তুত পশুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে রাজশাহীতে প্রায় ৪৩ লাখ। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার এবং খুলনা বিভাগে ১৪ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি পশু। শুধুমাত্র রাজশাহী বিভাগ থেকেই আসবে দেশের মোট কোরবানির পশুর প্রায় ৩৫ শতাংশ।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এবারের কোরবানির পশুর বাজার মূল্য প্রায় ৬৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার পশু। পাশাপাশি কোরবানির সময় সংগ্রহ হওয়া চামড়াও হবে এক কোটি পর্যন্ত, যা মোট চাহিদার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পূরণ করবে। সব মিলিয়ে এবারের কোরবানির অর্থনীতি ছাড়িয়ে যেতে পারে এক লাখ কোটি টাকা।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের খামারি সাজ্জাদ হোসেন সেতু কোরবানির জন্য নিজ খামারে কয়েক মাস ধরে ১২টি গরু লালন-পালন করেছেন। এর মধ্যে ছয়টি গরু ইতিমধ্যে রোজার ঈদে বিক্রি করেছেন। বাকি ছয়টি গরু এবার কোরবানির হাটে তুলবেন। একইসঙ্গে তিনি একজন এআই (কৃত্রিম প্রজনন) কর্মী, যিনি প্রতি মাসে ১৫০ থেকে ২০০টি প্রজনন করে থাকেন। তাঁর মাধ্যমে স্থানীয় অনেক তরুণ ও নারী খামারিরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

বর্তমানে স্থানীয় বাজারে আনুমানিক আড়াই মণ ওজনের গরু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯৫ হাজার টাকায়। পাঁচ মণ ওজনের গরুর দাম দুই লাখ টাকার কাছাকাছি। খামারিরা বলছেন, পশুখাদ্যের দাম কমানো ও সহজ শর্তে ঋণ দিলে দেশীয় খামারিরাই পুরো চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবেন।

প্রজনন খাতে গত অর্থবছরে প্রায় ৫৫ লাখ কৃত্রিম প্রজনন সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে গাভি ও বকনাতে হয়েছে প্রায় ৩৮ লাখ। বাছুর উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৭ লাখ। দেশের বাজারে এখন শাহিওয়াল জাতের গরুর চাহিদা বেশি।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. বয়জার রহমান বলেন, “গরু মোটাতাজাকরণ, কৃত্রিম প্রজনন, উন্নত জাত সম্প্রসারণ ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার খামারিদের স্বনির্ভরতা বাড়িয়েছে। মাংসের বাড়তি চাহিদা পূরণে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে হবে। তবে আমরা দেশীয় জাত সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।