১২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
‘শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলেই সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ’ পশ্চিম সিকিমের ইয়াংথাঙে ফের ভূমিধস, নিহত ৪ আলবেনিয়ায় প্রথমবারের মতো AI-চালিত ভার্চুয়াল মন্ত্রী নিয়োগ কুমিল্লায় বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ৫ শোকের ছায়া জাকসুতে সহকারী অধ্যাপকের মৃ-ত্যু প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনায় জাপানে এনসিপি নেতারা গ্রাফটিং টমেটো চাষে নতুন সম্ভাবনা, বাহুবলে কৃষকদের সফলতা বলসোনারোকে ২৭ বছরের সাজা দিল ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৫০ বিলিয়ন SAFE প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে তুরস্ক-দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানালো ইসরায়েলি হামলার ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়ে গেছে ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম

নাটোরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন, কিন্তু ন্যায্যমূল্যের অভাবে কৃষক বিপাকে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 68

ছবি সংগৃহীত

 

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। উৎপাদন খরচ উঠে না আসায় একরকম লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়, যা উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় অর্ধেকও নয়।

কৃষকরা বলছেন, সার, বীজ, কীটনাশক এবং শ্রমিকের মজুরি বাবদ একেক মণ পেঁয়াজ উৎপাদনে তাদের গড়ে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। অথচ বাজারে সেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে অর্ধেক দামে। এতে পরিবার চালানো তো দূরের কথা, আগের ধারদেনা মেটানোই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।

নলডাঙ্গা হাটের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে। স্থানীয় এক পাইকার বলেন, “পেঁয়াজ ১৫-১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি, তাও ক্রেতা নেই। একদিকে চাহিদা কম, অন্যদিকে সরবরাহ বেশি—তাই আমাদেরও বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে।”

নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাবিবুল ইসলাম খান জানান, চলতি মৌসুমে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রোগবালাই না থাকায় ফলন খুব ভালো হয়েছে। কৃষকেরা পূর্বঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর, কিন্তু আবাদ হয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৫০ হেক্টরে। ফলে উৎপাদন বেড়েছে, দাম পড়েছে।

তিনি আরও জানান, কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যেন একসঙ্গে অতিরিক্ত পেঁয়াজ না চাষ করে পর্যায়ক্রমে উৎপাদনের পরিকল্পনা নেন। ভবিষ্যতে যাতে কৃষকেরা লাভবান হতে পারেন, সে লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

পেঁয়াজ চাষে লোকসান হওয়ায় কৃষকেরা এখন হতাশ। তাদের দাবি, সরকার যেন দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, যাতে উৎপাদকরা ন্যায্যমূল্য পান এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তাও বজায় থাকে।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

নাটোরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন, কিন্তু ন্যায্যমূল্যের অভাবে কৃষক বিপাকে

আপডেট সময় ০৪:১৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। উৎপাদন খরচ উঠে না আসায় একরকম লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়, যা উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় অর্ধেকও নয়।

কৃষকরা বলছেন, সার, বীজ, কীটনাশক এবং শ্রমিকের মজুরি বাবদ একেক মণ পেঁয়াজ উৎপাদনে তাদের গড়ে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। অথচ বাজারে সেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে অর্ধেক দামে। এতে পরিবার চালানো তো দূরের কথা, আগের ধারদেনা মেটানোই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।

নলডাঙ্গা হাটের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে। স্থানীয় এক পাইকার বলেন, “পেঁয়াজ ১৫-১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি, তাও ক্রেতা নেই। একদিকে চাহিদা কম, অন্যদিকে সরবরাহ বেশি—তাই আমাদেরও বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে।”

নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাবিবুল ইসলাম খান জানান, চলতি মৌসুমে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রোগবালাই না থাকায় ফলন খুব ভালো হয়েছে। কৃষকেরা পূর্বঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর, কিন্তু আবাদ হয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৫০ হেক্টরে। ফলে উৎপাদন বেড়েছে, দাম পড়েছে।

তিনি আরও জানান, কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যেন একসঙ্গে অতিরিক্ত পেঁয়াজ না চাষ করে পর্যায়ক্রমে উৎপাদনের পরিকল্পনা নেন। ভবিষ্যতে যাতে কৃষকেরা লাভবান হতে পারেন, সে লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

পেঁয়াজ চাষে লোকসান হওয়ায় কৃষকেরা এখন হতাশ। তাদের দাবি, সরকার যেন দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, যাতে উৎপাদকরা ন্যায্যমূল্য পান এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তাও বজায় থাকে।