ঢাকা ১১:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাত দিনের মধ্যে মাগুরায় ধর্ষণের বিচার কাজ শুরু: আইন উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল রাশিয়ায়, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার সূচনা বলিভিয়ার পোটোসি অঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত, আহত ২০ জন নির্যাতিত শিশু আছিয়ার মৃত্যু, বিচার দাবি জামায়াত আমিরের আছিয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর করে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক: হাসনাত-সারজিস মাদকবিরোধী অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধের সব দায় নিলেন দুতার্তে, আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার দাবি সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ল শনি গ্রহের চারপাশে নতুন ১২৮টি চাঁদের সন্ধান, আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান আইজিপির আহ্বান: পুলিশের ওপর আক্রমণ না করে সহযোগিতা করুন

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে ম্যানিলা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর তিনি দেশে ফিরলে পুলিশ তাকে আটক করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

হংকং থেকে দেশে ফেরার পরই দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলমান রয়েছে। রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুতার্তে তার ক্ষমতা গ্রহণের সময় মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নামে গণহত্যার মতো অপরাধ করেছেন। বিচার বিভাগের এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করবে।

আইসিসি ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দুতার্তের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেয়। এই সময়কালে তিনি ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ডাভাওয়ের মেয়র ও পরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অভিযোগ উঠেছে, তার নেতৃত্বে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলো সম্ভবত মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় পড়ে, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হতে পারে।

ফিলিপাইন সরকার, বিশেষত বর্তমান প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, এ তদন্তের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এবং বলেছেন যে, তারা আইনের শাসন অনুসরণ করবে। তবে আন্তর্জাতিক মহলে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কার্যকরের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে, এবং বিষয়টি আরও জটিল হতে পারে, যেহেতু দুতার্তে নিজেকে কঠোরভাবে মাদকবিরোধী যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে প্রচার করেছিলেন।

এখন দেখা যাবে, আন্তর্জাতিক আদালত কিভাবে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন করে এবং তার ভবিষ্যৎ শাস্তির বিষয়টি কিভাবে নির্ধারণ হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:২৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৩:২৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

 

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে ম্যানিলা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর তিনি দেশে ফিরলে পুলিশ তাকে আটক করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

হংকং থেকে দেশে ফেরার পরই দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলমান রয়েছে। রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুতার্তে তার ক্ষমতা গ্রহণের সময় মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নামে গণহত্যার মতো অপরাধ করেছেন। বিচার বিভাগের এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করবে।

আইসিসি ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দুতার্তের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেয়। এই সময়কালে তিনি ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ডাভাওয়ের মেয়র ও পরে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অভিযোগ উঠেছে, তার নেতৃত্বে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলো সম্ভবত মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় পড়ে, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হতে পারে।

ফিলিপাইন সরকার, বিশেষত বর্তমান প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, এ তদন্তের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এবং বলেছেন যে, তারা আইনের শাসন অনুসরণ করবে। তবে আন্তর্জাতিক মহলে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কার্যকরের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে, এবং বিষয়টি আরও জটিল হতে পারে, যেহেতু দুতার্তে নিজেকে কঠোরভাবে মাদকবিরোধী যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে প্রচার করেছিলেন।

এখন দেখা যাবে, আন্তর্জাতিক আদালত কিভাবে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন করে এবং তার ভবিষ্যৎ শাস্তির বিষয়টি কিভাবে নির্ধারণ হয়।