ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাজেকে শুরু হলো স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম ফাহমিদুল ইসলামকে আবার ডাক দিল বাফুফে: জাতীয় দলে নতুন আশা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুহাম্মদ ইসলাম লন্ডনে ডেপুটি সিভিক মেয়র নির্বাচিত “ফারাক্কার ফাঁদে বাংলাদেশ: বাঁধের পঞ্চাশ বছরের বেদনা ও বিপর্যয়।” আইপিএল পুনরায় শুরুর আগে ধাক্কা দিল্লীর শিবিরে, নেই স্টার্ক-ডু প্লেসিস-ফেরেয়রা ভারত-পাকিস্তান চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়লো আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে ৪৭,৪২০ হজযাত্রীর যাত্রা সম্পন্ন ঈদ উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, যাত্রীদের ভিড় ঢাকায় নিরাপদ পথচারী পারাপারের জন্য ডিএমপির নতুন উদ্যোগ

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে উল্লখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, অগ্রসর অন্যান্য খাতও

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / 20

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রফতানিতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এ খাত থেকে আয় হয়েছে ২,৬৭৯ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬৪ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানির মধ্যে নিটওয়্যার খাত থেকে এসেছে ১,৪৩৪ কোটি ৪ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১১.০১ শতাংশ বেশি। ওভেন পোশাক রফতানিতে আয় হয়েছে ১,২৪৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা বেড়েছে ১০.২২ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারি মাসের হিসেবে তৈরি পোশাক রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩২৪ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৬৬ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে নিটওয়্যার রফতানি বেড়েছে ৩.৭৭ শতাংশ, তবে ওভেন পোশাকের আয় সামান্য ০.৪৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

শুধু পোশাক খাতই নয়, অন্যান্য রফতানিতেও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ থেকে মোট ৩,২৯৪ কোটি ২৬ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৫৩ শতাংশ বেশি।

এই সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি বেড়েছে ৮.৪৮ শতাংশ, যা আয় এনেছে ৭৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। কৃষি পণ্যের রফতানিও বেড়েছে ১০.২৫ শতাংশ, মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৭৪ কোটি ২৪ লাখ ডলারে। হোম টেক্সটাইল রফতানি ৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আয় করেছে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।

ফেব্রুয়ারি মাসে মোট পণ্য রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৭৭ শতাংশ বেশি।

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাক ও অন্যান্য পণ্যের চাহিদা বাড়ছে, যা দেশের রফতানি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ প্রবৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে হলে রফতানির বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর আরও জোর দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে উল্লখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, অগ্রসর অন্যান্য খাতও

আপডেট সময় ০৪:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রফতানিতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এ খাত থেকে আয় হয়েছে ২,৬৭৯ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬৪ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানির মধ্যে নিটওয়্যার খাত থেকে এসেছে ১,৪৩৪ কোটি ৪ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১১.০১ শতাংশ বেশি। ওভেন পোশাক রফতানিতে আয় হয়েছে ১,২৪৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা বেড়েছে ১০.২২ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারি মাসের হিসেবে তৈরি পোশাক রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩২৪ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৬৬ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে নিটওয়্যার রফতানি বেড়েছে ৩.৭৭ শতাংশ, তবে ওভেন পোশাকের আয় সামান্য ০.৪৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

শুধু পোশাক খাতই নয়, অন্যান্য রফতানিতেও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ থেকে মোট ৩,২৯৪ কোটি ২৬ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৫৩ শতাংশ বেশি।

এই সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি বেড়েছে ৮.৪৮ শতাংশ, যা আয় এনেছে ৭৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। কৃষি পণ্যের রফতানিও বেড়েছে ১০.২৫ শতাংশ, মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৭৪ কোটি ২৪ লাখ ডলারে। হোম টেক্সটাইল রফতানি ৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আয় করেছে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।

ফেব্রুয়ারি মাসে মোট পণ্য রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৭৭ শতাংশ বেশি।

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাক ও অন্যান্য পণ্যের চাহিদা বাড়ছে, যা দেশের রফতানি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ প্রবৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে হলে রফতানির বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর আরও জোর দিতে হবে।