ঢাকা ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পরবর্তী শুনানি ৭ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের মায়ের দোয়া নিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনীতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ বছর ঘুরে ফিরে আসলো গণঅভ্যুত্থানের সেই রক্তাক্ত জুলাই পারমাণবিক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিশ্চয়তা চান ইরান: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে আজ মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ১৮ জুলাই পালিত হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধ দিবস: প্রেসসচিব ক্লাব বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে ম্যানসিটি বিদায় করে কোয়ার্টারে আল হিলাল নির্বাচন হবে আগামী বছরের শুরুতে : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে উল্লখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, অগ্রসর অন্যান্য খাতও

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রফতানিতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এ খাত থেকে আয় হয়েছে ২,৬৭৯ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬৪ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানির মধ্যে নিটওয়্যার খাত থেকে এসেছে ১,৪৩৪ কোটি ৪ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১১.০১ শতাংশ বেশি। ওভেন পোশাক রফতানিতে আয় হয়েছে ১,২৪৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা বেড়েছে ১০.২২ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারি মাসের হিসেবে তৈরি পোশাক রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩২৪ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৬৬ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে নিটওয়্যার রফতানি বেড়েছে ৩.৭৭ শতাংশ, তবে ওভেন পোশাকের আয় সামান্য ০.৪৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

শুধু পোশাক খাতই নয়, অন্যান্য রফতানিতেও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ থেকে মোট ৩,২৯৪ কোটি ২৬ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৫৩ শতাংশ বেশি।

এই সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি বেড়েছে ৮.৪৮ শতাংশ, যা আয় এনেছে ৭৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। কৃষি পণ্যের রফতানিও বেড়েছে ১০.২৫ শতাংশ, মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৭৪ কোটি ২৪ লাখ ডলারে। হোম টেক্সটাইল রফতানি ৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আয় করেছে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।

ফেব্রুয়ারি মাসে মোট পণ্য রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৭৭ শতাংশ বেশি।

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাক ও অন্যান্য পণ্যের চাহিদা বাড়ছে, যা দেশের রফতানি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ প্রবৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে হলে রফতানির বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর আরও জোর দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে উল্লখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, অগ্রসর অন্যান্য খাতও

আপডেট সময় ০৪:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রফতানিতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এ খাত থেকে আয় হয়েছে ২,৬৭৯ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬৪ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানির মধ্যে নিটওয়্যার খাত থেকে এসেছে ১,৪৩৪ কোটি ৪ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১১.০১ শতাংশ বেশি। ওভেন পোশাক রফতানিতে আয় হয়েছে ১,২৪৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা বেড়েছে ১০.২২ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারি মাসের হিসেবে তৈরি পোশাক রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩২৪ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৬৬ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে নিটওয়্যার রফতানি বেড়েছে ৩.৭৭ শতাংশ, তবে ওভেন পোশাকের আয় সামান্য ০.৪৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

শুধু পোশাক খাতই নয়, অন্যান্য রফতানিতেও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ থেকে মোট ৩,২৯৪ কোটি ২৬ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৫৩ শতাংশ বেশি।

এই সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি বেড়েছে ৮.৪৮ শতাংশ, যা আয় এনেছে ৭৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। কৃষি পণ্যের রফতানিও বেড়েছে ১০.২৫ শতাংশ, মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৭৪ কোটি ২৪ লাখ ডলারে। হোম টেক্সটাইল রফতানি ৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আয় করেছে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।

ফেব্রুয়ারি মাসে মোট পণ্য রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৭৭ শতাংশ বেশি।

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাক ও অন্যান্য পণ্যের চাহিদা বাড়ছে, যা দেশের রফতানি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ প্রবৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে হলে রফতানির বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর আরও জোর দিতে হবে।