রমজানে নিরাপত্তা জোরদার: থাকছে না ‘ডেভিল হান্ট’ নাম, তবে অভিযান চলবে
রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে কেনাকাটা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠছে পেশাদার ও মৌসুমি অপরাধীরা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যে জাল টাকার কারবার, ছিনতাই, ডাকাতি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তৎপরতা দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ অভিযান আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামটি আর ব্যবহৃত হবে না বলে জানা গেছে।
গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত কোর কমিটির বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, রমজান মাসে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের দমন করা হবে। বিশেষ করে মহাসড়কে ডাকাতি ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ এবং ব্যাংকে বড় অঙ্কের টাকা জমা ও উত্তোলনের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর আওতায় ১ মার্চ পর্যন্ত ১১ হাজার ৮৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নৈরাজ্য ঠেকাতে এই অভিযান পরিচালিত হয়। বিশেষ করে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার পর অভিযান আরও তীব্র হয়। তবে অভিযানের নাম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় এটি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ‘ডেভিল হান্ট’ নামটি অনেকের কাছে আপত্তিকর মনে হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও এই নাম পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে অপরাধ দমনে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে এবং আরও জোরদার করা হবে। একই সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের পর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর গ্রেপ্তারসংখ্যা প্রকাশ করা থেকে বিরত রয়েছে। তবে অভিযান অব্যাহত থাকায় রমজান মাসেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।