ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

সেন্ট মার্টিনে মাছের সংকট, পর্যটকদের চাহিদা পূরণে সংকটে জেলেরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 59

সেন্ট মার্টিনে মাছের সংকট, পর্যটকদের চাহিদা পূরণে সংকটে জেলেরা

 

সেন্ট মার্টিনের প্রধান আকর্ষণ ছিল তাজা সামুদ্রিক মাছ। বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় মাছ ভেজে পর্যটকদের পরিবেশন করা দ্বীপের বিশেষত্ব হলেও এখন সেই মাছের দেখা পাওয়া ভার। স্থানীয় জেলেরা ছোট মাছ, যেমন ‘ফ্লাইংফিশ’ ও ‘টুইট্যা’, আহরণ করে পর্যটকদের চাহিদা মেটাচ্ছেন।

একসময় এই দ্বীপ ছিল মৎস্য খনি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় শত মেট্রিক টন মাছ সরবরাহ করা হতো। কিন্তু এখন সাগরে মাছের সংকট প্রকট। দ্বীপের পূর্ব সৈকতে টানাজালে ধরা পড়ছে কেবল ছোট আকৃতির মাছ। অধিকাংশ ইঞ্জিন নৌকা ঘাটে নোঙর করে আছে, কারণ গভীর সাগরে মাছ আহরণের সক্ষমতা তাদের নেই।

জেলেদের মতে, গভীর বঙ্গোপসাগরে চলে গেছে বড় মাছের ঝাঁক। টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে আসা বড় ট্রলারগুলো গভীর সাগরে সাত-আট দিন অবস্থান করে মাছ ধরলেও, সেন্ট মার্টিনের নৌকাগুলো রাতে মাছ ধরে সকালে ফিরে আসে।

সরকারি নির্দেশনায় প্রতিদিন সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করছেন দুই হাজার পর্যটক। তাদের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন ২০-৩০ মণ মাছ। কিন্তু দ্বীপে সেই চাহিদা পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকেরা টেকনাফ বা শাহপরীর দ্বীপ থেকে কোরাল, রূপচাঁদা, কালোচান্দা কিনে সংকট সামাল দিচ্ছেন।

মৎস্য সংকট মোকাবিলায় গভীর সাগরে মাছ ধরার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাগর সংরক্ষণে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। পর্যটনের সঙ্গে জীবিকা নির্বাহের এই দ্বৈত চাহিদা পূরণে সমন্বিত পদক্ষেপই হতে পারে টেকসই সমাধান।

নিউজটি শেয়ার করুন

সেন্ট মার্টিনে মাছের সংকট, পর্যটকদের চাহিদা পূরণে সংকটে জেলেরা

আপডেট সময় ১০:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

 

সেন্ট মার্টিনের প্রধান আকর্ষণ ছিল তাজা সামুদ্রিক মাছ। বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় মাছ ভেজে পর্যটকদের পরিবেশন করা দ্বীপের বিশেষত্ব হলেও এখন সেই মাছের দেখা পাওয়া ভার। স্থানীয় জেলেরা ছোট মাছ, যেমন ‘ফ্লাইংফিশ’ ও ‘টুইট্যা’, আহরণ করে পর্যটকদের চাহিদা মেটাচ্ছেন।

একসময় এই দ্বীপ ছিল মৎস্য খনি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় শত মেট্রিক টন মাছ সরবরাহ করা হতো। কিন্তু এখন সাগরে মাছের সংকট প্রকট। দ্বীপের পূর্ব সৈকতে টানাজালে ধরা পড়ছে কেবল ছোট আকৃতির মাছ। অধিকাংশ ইঞ্জিন নৌকা ঘাটে নোঙর করে আছে, কারণ গভীর সাগরে মাছ আহরণের সক্ষমতা তাদের নেই।

জেলেদের মতে, গভীর বঙ্গোপসাগরে চলে গেছে বড় মাছের ঝাঁক। টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে আসা বড় ট্রলারগুলো গভীর সাগরে সাত-আট দিন অবস্থান করে মাছ ধরলেও, সেন্ট মার্টিনের নৌকাগুলো রাতে মাছ ধরে সকালে ফিরে আসে।

সরকারি নির্দেশনায় প্রতিদিন সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করছেন দুই হাজার পর্যটক। তাদের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন ২০-৩০ মণ মাছ। কিন্তু দ্বীপে সেই চাহিদা পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকেরা টেকনাফ বা শাহপরীর দ্বীপ থেকে কোরাল, রূপচাঁদা, কালোচান্দা কিনে সংকট সামাল দিচ্ছেন।

মৎস্য সংকট মোকাবিলায় গভীর সাগরে মাছ ধরার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাগর সংরক্ষণে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। পর্যটনের সঙ্গে জীবিকা নির্বাহের এই দ্বৈত চাহিদা পূরণে সমন্বিত পদক্ষেপই হতে পারে টেকসই সমাধান।